সংক্ষিপ্ত

  • দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার রায়দিঘির ঘটনা
  • বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে
  • ভালবেসে দুই ব্যাঙের নাম দেওয়া হয় রাজ এবং শুভশ্রী
  • বিয়ে ঘিরে এলাহি আয়োজন স্থানীয় গ্রামে
     

আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণ এসে গেল। কিন্তু আকাশ কালো করলেও বৃষ্টির দেখা নেই দক্ষিণবঙ্গে। প্রবল গরম তো আছেই, তার সঙ্গে মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। বৃষ্টির অভাবে মাঠেই শুকিয়ে কাঠ ফসল। এই অবস্থায় বৃষ্টি নামাতে শেষ পর্যন্ত রাজ- শুভশ্রীর বিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা। 

আরও পড়ুন- কোথাও বন্যা, কোথাও খরা- প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় একই সময়ে ভিন্ন পরিস্থিতির সাক্ষী দেশের এই ৬ জায়গা

রাজ- শুভশ্রী বলতে আসলে দু'টি ব্যাঙ। বৃষ্টি নামাতে এই কুসংস্কারেই ভরসা রাখলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার রায়দিঘি থানার অন্তর্গত কৌতলা গ্রামের বাসিন্দারা। শুক্রবারের এই বিয়ে ঘিরে আয়োজনের কোনও ঘাটতি ছিল না। রীতিমতো পুরোহিত ডেকে, আলো দিয়ে সাজিয়ে, মণ্ডপ তৈরি করে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। বিয়ের সানাইয়ের পাশাপাশি শুভ অনু্ষ্ঠানে ঢাকের বাদ্যির ব্যবস্থাও ছিল। সঙ্গে পাত পেড়ে খাওয়ারও ব্যবস্থা করেছিলেন উদ্যোক্তারা। ভালবেসে পাত্রপাত্রী থুড়ি দুই ব্যাঙের নাম রাজ- শুভশ্রী দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় একটি ক্লাবের উদ্যোগেই হয়েছিল যাবতীয় আয়োজন।

আরও পড়ুন- জল অপচয় রুখে রায়গঞ্জের রোল মডেল হল ষষ্ঠ শ্রেণির এই ছাত্রী

পাত্র হিসেবে বয়ারগদি গ্রাম থেকে ধরে আনা হয়েছিল রাজকে। আর শুভশ্রী মানে পাত্রী ব্যাঙটিকে ধরা হয়েছিল কৌতলা গ্রামে। নিয়ম মেনে পাত্র পক্ষই এসেছিলেন পাত্রী পক্ষের বাড়িতে। সানাই বাজিয়ে, মন্ত্রোচ্চারণ করে বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে পাত্র-পাত্রীকে খাঁচাবন্দি করে রাখা হয়েছিল, এই যা! তবে খাঁচায় থাকলেও পাত্রীকে গোলাপি ওড়নায় দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রীতিমতো বিয়ে বাড়ির সাজেই ব্যাঙের বিয়ে দেখতে হাজির হয়েছিলেন অন্তত দশটি গ্রামের মানুষ। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, আমন ধানের চাষ মূলত বর্ষার উপরেই নির্ভরশীল। কিন্তু এ বার বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়ায় প্রচলিত রীতি মেনেই ব্যাঙের বিয়ে দিলেন তাঁরা। ভালয় ভালয় বিয়ে মেটার পরে এবার ব়ৃষ্টি হবেই, অন্তত এমনই আশা গ্রামবাসীদের।