সংক্ষিপ্ত
- কালীপুজোয় ভিআইপি পাস বন্ধ করায় বিপাকে কালীপুজো কমিটি
- মুখ্য়মন্ত্রী বলেছেন, তাই অমান্য করতে পারছেন না কেউ
- ভিআইপি পাসের বিকল্প নিয়ে কী ভাবছে কালীপুজো কমিটি
- ভিআইপি পাস বন্ধ হলে কী সমস্য়া কমিটিগুলির
মুখ্য়মন্ত্রীর নির্দেশে সাপের ছুঁচো গেলার মত অবস্থা। কালীপুজোয় ভিআইপি পাস বন্ধ করে বিপাকে পড়েছে বারাসতের একাধিক কালীপুজো কমিটি । কিন্তু যেহেতু মুখ্য়মন্ত্রী বলেছেন, তাই অমান্য করতে পারছেন না তাঁরা।
দুর্গাপুজোর প্রভাব রয়ে গিয়েছে কালীপুজোয়। যার জেরে কালীপুজোতেও ভিআইপি পাস বন্ধ করতে হয়েছে বারাসতের কালীপুজো কমিটিকে। দুর্গাপুজোর আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলেছিলেন, সবাই লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখুন। তারপরেই নড়েচড়ে বসেছিল রাজ্য প্রশাসন। প্রশাসনের পাশাপাশি আয়োজকদের মধ্যেও দেখা গেছিল হেলদোল । একই ছায়া এবার বারাসাতের কালীপুজোতেও।
আরও পড়ুন: আকাশের মুখভার, সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টিতে ভিজছে তিলোত্তমা
উদ্যোক্তাদের দাবি, ইতিমধ্যেই তাঁদের কাছে পুলিশ প্রশাসনের একাধিক স্তর থেকে নির্দেশ এসেছে। এবারের কালীপুজোয় কোনও পাসের ব্যবস্থা করা যাবে না বলেছেন পুলিসের কর্তারা। জেলা পুলিশ প্রশাসনের এই নির্দেশিকা ঘিরেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। বড়পুজো উদ্যোক্তারা এই নির্দেশিকা প্রশাসনের চাপে পড়ে মেনে নিলেও মন থেকে অনেকেই বিষয়টি মানতে পারছে। কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। তাদের আনেকেরই দাবি, প্রশাসন যেভাবে কড়াকড়ি শুরু করেছে তাতে কালীপুজোকে কেন্দ্র করে বারাসতের যে আভিজাত্য তা অস্তমিত হতে চলেছে। পাস তুলে দেওয়ায় ভিড় আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে জাতীয় সড়কের ধারে থাকা পুজোগুলি ভিড় সামলাতে হিমসিম খাবে। সেক্ষেত্রে সমস্যাও বাড়বে। এমনই মন্তব্য করেছেন নবপল্লি সর্বজনীন কালীপুজো কমিটির উদ্যোক্তা চম্পক দাস।
আরও পড়ুন: কাজ করতে গিয়ে প্রতারিত, সৌদি আরবে অনাহারে দিন কাটছে নদিয়ার যুবকের
পাশাপাশি তাদের দাবি,সবার জন্য যদি সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হয় তবে শুধুমাত্র পুজোর ক্ষেত্রেই নয় সর্বক্ষেত্রেই সেটা প্রয়োগ করুক প্রশাসন। সেক্ষেত্রে পুলিশ আধিকারিক থেকে আমলা মন্ত্রীকে পুলিশ যেন আলাদা করে পুজোয় না নিয়ে আসে। সবাই লাইনে দাঁড়িয়েই ঠাকুর দেখবে । তবে সকারের নির্দেশ মেনে পাস না করলেও আমন্ত্রণ পত্র ছাপিয়ে বিকল্প পথের ব্যবস্থা করেছে বেশকিছু কালীপুজো কমিটি। তাঁদের বক্তব্য, যাদের দৌলতে পুজোর এত ভালো আয়োজন , তাদেরকে ভিড়ের মধ্যে ফেলে দেওয়া যায় না। এমনকী ক্লাবের মেম্বরদের হাতে পাস না দিলে তারা ভিড় ঠেলে পুজোয় ঢুকবে এটা মানা যায় না। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তাঁরা বলেন,অনেক শুভানুধ্যায়ী আছেন তাদেরকে আমাদের আমন্ত্রণপত্র দিতেই হবে। সেক্ষেত্রে বলা যায়,মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরে পাস নিয়ে জাঁতাকল থেকে বের হতে আমন্ত্রণপত্র ছাপিয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে। লক্ষ্য একটাই যেন সাপও মরে , লাঠি ও না ভাঙে ।