সংক্ষিপ্ত
বিশ্বভারতীর আধিকারিক এবং কর্মীদের নিয়ে মিউজিক থেরাপি বৈঠক চলছিল। সেই বৈঠকে অধ্যাপক ও কর্মীদের পাশাপাশি বেশ কিছু অপরিচিত ব্যক্তি অনলাইনে ঢুকে পড়েন।
বিশ্বভারতীর (Viswabharati) অনলাইন বৈঠকে (Online Meeting) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে (VC Bidyut Chakraborty) অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা অভিযোগ উঠল জনৈক ব্যক্তির (Unknown Person) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। সেই গালিগালাজের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়ে যায় নিমেষের মধ্যে। তবে এশিয়ানেট নিউজ সেই ভাইরাল ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি।
১১ই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্বভারতীর আধিকারিক এবং কর্মীদের নিয়ে মিউজিক থেরাপি বৈঠক চলছিল। সেই বৈঠকে অধ্যাপক ও কর্মীদের পাশাপাশি বেশ কিছু অপরিচিত ব্যক্তি অনলাইনে ঢুকে পড়েন। সেটা দেখতে পেয়ে কোন একজনকে বলতে শোনা যায় অপরিচিত সকলকে রিমুভ করুন অনির্বাণবাবু। সে সময় জনৈক ব্যক্তি অনলাইনে উপাচার্যকে উদেশ্য করে হাসতে হাসতে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। এরপরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বৈঠকের অনেকেই। কোন একজনকে বলতে শোনা যায় ভদ্রলোকের কাজ নয় এটা। এরপরেই অনির্বাণ এবং স্বপনবাবুকে নির্দেশ দেওয়া হয় অপরিচিত নাম সব বাদ দেওয়া হোক। নির্দিষ্ট একটি নামের তালিকা দেওয়া হচ্ছে। তাদেরই অনলাইন বৈঠকে রাখা হোক।
প্রশ্ন হচ্ছে অধ্যাপক এবং কর্মীদের বৈঠকে বহিরাগত ব্যক্তি অনলাইনে ঢুকলেন কিভাবে? কারণ অনলাইন বৈঠকের জন্য একটি নির্দিষ্ট লিঙ্ক দেওয়া হয়। যারা বৈঠকে থাকবেন তাদের মধ্যেই সেই লিঙ্ক শেয়ার করা হয়। সেই লিঙ্ক বহিরাগত মানুষের মোবাইলে গেল কিভাবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে এনিয়ে বিশ্বভারতীর কোন আধিকারিক মুখ খোলেননি।
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসাবে কাজে যোগদান করার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। অধ্যাপক থেকে কর্মীদের বরখাস্ত, ছাত্রদের বহিষ্কার। মেলা বন্ধ থেকে বিশ্বভারতী চত্বর প্রাচীর দিয়ে মুড়ে দিতে গিয়ে তাকে একাধিকবার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। শেষে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাচীর বিতর্কে স্বস্তি মিললেও দুই ছাত্রছাত্রীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে তাকে পিছু হঠতে হয়। অধ্যাপকদের বরখাস্ত নিয়েও তিনি হাইকোর্টে সমালোচিত হন। এবার অনলাইনে তাকে গালিগালাজ আরও একটি বিষয় যুক্ত হল।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক প্রকাশিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (এনআইআরএফ)’র ক্রমতালিকাতেও এক ধাক্কায় ২৮ ধাপ নেমে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ক্রমতালিকায় ৯৭ তম স্থান পেয়েছে বিশ্বভারতী। শুধু তাই নয়, সারা দেশে যত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেই তালিকাতেও ১৪ ধাপ নেমে ৬৪ তম স্থানে রয়েছে এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রশ্নে যথেষ্ট প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে।