সংক্ষিপ্ত
'আর্শীবাদ নিয়েছি',সবার প্রিয় হাঁদা-ভোদার স্রষ্টা, বাঁটুল দি গ্রেটের স্রষ্ঠা নারায়ান দেবনাথকে দেখতে গেলেন রাজ্যপাল। বাংলা তথা দেশের অন্যতম কিংবদন্তিকে স্বস্ত্রীক ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ।
সবার প্রিয় হাঁদা-ভোদার স্রষ্টা, বাঁটুল দি গ্রেটের স্রষ্ঠা নারায়ান দেবনাথকে (Narayan Debnath) দেখতে গেলেন রাজ্যপাল। হাওড়ার শিবপুরে তার বাড়িতে আসেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল।পদ্মশ্রী প্রাপ্ত বাংলা তথা দেশের অন্যতম কিংবদন্তিকে স্বস্ত্রীক ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)।
চলতি বছরের শুরতেও দেখা করেছিলেন রাজ্যপাল। ফের বর্ষশেষের মাসে নারায়ন দেবনাথের সঙ্গে দেখা করে আপ্লুত ধনখড়। রাজ্যপাল এদিন জানিয়েছেন, ওনার আর্শীবাদ নিয়েছি। নিজের জীবন থেকে সমাজকে সঠিক দিশা দেখিয়েছেন উনি। তাঁর অলঙ্করণ ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। মোদী প্রসঙ্গও টানলেন তিনি। ধনখড় আরও জানালেন, তাঁদের চিকিৎসার জন্য রাজভবনের তরফে সাহায্য করা হবে। ওনার আশীর্বাদ নিয়ে যখন ঘরে বাইরে চলে এসেছি, উনি আবার আমায় ডেকে পাঠান। ওনার চোখের চমক এবং ওনার আশীর্বাদ থেকে জনসাধারণের প্রতি আমার একটা নতুন উৎসাহ তৈরি হয়েছে।'
আরও পড়ুন, Polls: 'কেন এক দিনে নয় সব পুরভোট', নির্বাচন কমিশনারের বৈঠকে 'বাহিনী' নিয়ে প্রশ্ন ধনখড়ের
আরও পড়ুন, ঠাকুমার কাছেই মানুষ সবার প্রিয় ও হেনরি, জেলে বসেই লেখেন একের পর এক বিখ্য়াত গল্প
৯৬ বছরে পা দিয়েছেন বাঁটুল দি গ্রেটের স্রষ্ঠা নারায়ান দেবনাথ। চলতি বছরে শুরুতে জানুয়ারি মাসে তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেসময়ও কিংবদন্তিকে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেবার প্রবীণ শিল্পীর কোভিড টেস্টে রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনির সমস্যা সহ বার্ধক্য জনিত নানা উপসর্গ নিয়ে তিনি ভর্তি ছিলেন। তবুও রাজ্যপালকে বাঁটুলের ছবি একেঁ কাঁপা হাতেই তিনি লিখেছিলেন, শুভেচ্ছা সহ আমাদের শ্রদ্ধেয় রাজ্যপাল। সেই ছবি রাজ্যপাল টুইটে শেয়ার করতেই দেখেছিল সারা বাংলা। নারায়ন দেবনাথকে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৮ থেকে ৮০ সবাই নারায়ন দেবনাথের কথা বলা কার্টুন ছবিতে বরাবরই ভক্ত। সুদূর বাংলার হাওড়া জেলার এই সৃষ্টিশীল বর্ষীয়ান শিল্পী কথা তাই থেমে থাকেনি। খবর পৌছে গিয়েছে দেশের কোনায় কোনায়। তাই তাঁকে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছে। পেয়েছেন ডিলিট সম্মান। তবে স্মারক কেনো আসেনি এ প্রসঙ্গে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্যপাল। বাংলা চটি বইয়ের তাঁর আকা ছবি সত্যিই মনে ভরিয়ে দিত স্কুল পড়ুয়াদের। তারপর সেই বই পড়া হয়েও গেলেও খুব একটা কেউ পেপারের সঙ্গে বিদায় জানাতো না। কারণ কলকাতার বেশিরভাগ একান্নবর্তী পরিবারে সেই বই ক্ষুদেদের হাত হয়ে যেত আরও পাঁচ হাতে। পাওয়ারের চশমা সরিয়ে কাঁপা হতে পড়তে ভূলতেন না খিটখিটে দাদুও। এদিন রাজ্যপাল আসায় সগৌরবে আরও একবার শৈশব ছুঁল শহরবাসী।