সংক্ষিপ্ত
রাজ্যে ফের পুর্নির্বাচনের ঘোষণায় কমিশন -সহ তৃণমূলকে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 'যোগ বিয়োগ হিসাব খুব তাড়াতাড়িই হয়ে যাবে', বলে কড়া প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর।
রাজ্যে ফের পুনর্নির্বাচনের ঘোষণায় কমিশন -সহ তৃণমূলকে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(BJP Leader Suvendu Adhikari) । শুভেন্দু বলেন, '১০ হাজার বুথে লুঠ হয়েছে। পোলিং এজেন্ট পাঠাতে পারেনি। তাই এই দুটি বুথে যেনও আর কেউ পোলিং এজেন্ট না পাঠায়।'
শুভেন্দু এদিন বলেছেন, 'ছাপ্পা ভোট (WB Municipal Elections 2022) সব জায়গাতই ওরা করে। দশটা বিশটা লোক থাকে। ৫০টা পুলিশ থাকে। ওদের সরায়। আর আমি ছবি তুলি। পরেদিন এফফাইআর করি। হাইকোর্টে মামলা আছে।আজকেও করব। সরার কোনও সিন নেই। চিনে চিনে রাখব। একদিন আমরাই রাজ্য চালাবো। খুঁজে খুঁজে ছবি গুলি বের করবো । আর ভিতরে ঢোকাবো। কোনও উন্নয়ন পশ্চিমবঙ্গে হয়নি। তাই পুলিশ দিয়ে ভোট হয়েছে। ধর্ম মানে না এমন মুসলিম জড়ো করে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে হয়েছে বলে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু। পাশাপাশি, তিনি হাসপাতালে অসুস্থ বৃদ্ধাকে দেখতে যান। তিনি বলেন,' এটা মেরে ফেলার জন্যই মারা হয়েছে। এবং এটেম্পট টুই মার্ডারের খুব ক্লিয়ার কেস। খুবই দুঃখের বিষয় যে, চিহ্নিত লোকেরা এখনও কিন্তু গ্রেফতার হয়নি। পুলিশের ভূমিকা সবচেয়ে খারাপ। এবারের পুরভোটে ক্রিমানালদের আগেপিছে করে নিয়ে গিয়েছে। বিক্ষোভে দেখা গিয়েছে শুভেন্দুকেকে করেছে বলতেই অভিযোগে জল ঢালেন শুভেন্দু।
এদিকে পুনর্নির্বাচন নিয়ে শুভেন্দু বলেন, '১০ হাজার বুথে লুঠ হয়েছে। পোলিং এজেন্ট পাঠাতে পারেনি। তাই এই দুটি বুথে যেনও আর কেউ পোলিং এজেন্ট না পাঠায়।' সেখানে আর মাত্র কয়েকটা বুথে পুর্নির্বাচন হওয়ায় স্বাভাবিকভাবই ভোট লুঠ হয়। রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোটগ্রহণ ছিল রবিবার। আর ওই দিন রাজ্যের প্রায় সব প্রান্তেই ব্যাপক সন্ত্রাস ও বেনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হয় বিরোধীরা। শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোটে প্রহসনের অভিযোগ তুলে আজ ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছিল বিজেপি (BJP)। পাশাপাশি এই ঘটনা নিয়ে কথা বলতে আজ রাজভবনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। আর তাঁর সঙ্গে বৈঠক শেষ করে বের হওয়ার পরই ২ বুথে পুনর্নির্বাচন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠক শেষ করে বের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই ঘোষণা করা হয়। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে বিদ্রুপ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অপরদিকে শুভেন্দু আনিসখানহত্যাকান্ডে বলেন, 'উনি প্রধানমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমন করেছেন।তার রাজনৈতিক মতাদর্শকে সমর্থন করি না। কিন্তু আক্রান্ত কারও পাশে দাঁড়ানোর অধিকার রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সকলেই রয়েছে। সময় খুব বেশি বাকি নেই। যোগ বিয়োগ হিসাব খুব তাড়াতাড়িই হয়ে যাবে', বলে কড়া প্রতিক্রিয়া শুভেন্দু।