সংক্ষিপ্ত

আসন্ন পুরনির্বাচনে শেষদিনের প্রচারে নিজ এলাকায় ঝড় তুললেন সুকান্ত মজুমদার। এদিন প্রচারে এসে আনিস হত্যাকাণ্ড এবং ইউক্রেনে আটকে যাওয়া বাঙালিদের নিয়ে কথা বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

আসন্ন পুরনির্বাচনে শেষদিনের প্রচারে নিজ এলাকায় ঝড় তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP State President Sukanta Majumdar)। শুক্রবার সকালে সুকান্ত'র বাড়ি সংলগ্ন ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এরপর ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেও নির্বাচনী প্রচার করেন রাজ্য সভাপতি। মূলত বিভিন্ন ওয়ার্ডে পায়ে হেঁটেই বাড়ি বাড়ি জন সংযোগের মধ্যে দিয়ে প্রচার সারছেন। 

'১০৮ পুরসভাতে বিজেপির ভাল ফল হবে'

এদিন প্রচারে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, 'পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে হাইকোর্টের পর এখন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।  পুরসভার ভোটে রাজ্য সরকার রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে চাইছে। রাজ্য পুলিশ নয় কেন্দ্র বাহিনী দিয়ে ভোট করার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের নয় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশন  যদি ফ্রী ফেয়ার ইলেকশন তাঁরা করতে পারেন, তাহলে ১০৮ পুরসভাতে বিজেপির ভাল ফল হবে।'এদিকে ছাত্রনেতার আনিসের রহস্যমৃত্যুর  ঘটনায় তাঁর বক্তব্য, 'প্রথমে দু'জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছেন। এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ গ্রেপ্তার হওয়া দুই কর্মীকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে বলে ধৃতরা দাবি করেছেন। এখন আবার ওসিকে ছুটিতে পাঠাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং এটা একের পর এক চলতেই থাকবে। এরপরে আরও উচ্চপদস্থ কোনও আধিকারিককে সাসপেন্ড করবেন তিনি। কিন্তু বিজেপি, সিবিআই তদন্ত দাবি করছে। তাঁর পরিবারের দাবি করছে সিবিআই তদন্ত করা হোক।'

আরও পড়ুন, মমতার পদত্যাগের দাবি, সিবিআই তদন্ত চেয়ে আনিস খুনে বিক্ষোভ মিছিল এবার মালদহে

'আনিস হত্যাকাণ্ডে বিজেপি  সিবিআই তদন্ত দাবি করছে'

প্রসঙ্গত,  আনিস হত্যাকাণ্ডে মৃত যুবকের বাবা সালাম খানের অভিযোগ থেকে জানা গিয়েছে, পুলিশের পোশাক পরিহিত ৪ জন লোক বাড়ির ভেতরে ঢুকে আনিসকে খুন করে। পরিবার সূত্রে খবর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আনিস আগাগোড়া কলকাতাতেই থাকতেন। তিন দিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা পাড়ার একটি জলসাতে গিয়েছিলেন। এরপরে গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। তার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ চার জন লোক রাত ১টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে যান। ওই চারজনের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরা থাকলেও বাকিদের শরীরে জলপাই রঙের পোশাক পরা ছিল। আমতা থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে তারা তিনতলা থেকে আনিসকে ফেলে দেয়। এরপরেই মৃত্যু হয় আনিসের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। 

আরও পড়ুন, কখন কী খবর আসবে, ঘুম উড়েছে ইউক্রেন আটকে যাওয়া বাংলার ৩ ডাক্তারি পড়ুরার পরিবারের

'ইউক্রেনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কেউ আটকে থাকার খবর নেই'

অন্যদিকে, ইউক্রেনে বাঙালিদের আটকে থাকা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার আরও জানিয়েছেন, 'ইউক্রেনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এখন পর্যন্ত কেউ আটকে থাকার খবর নেই। এমন খবর পেলে তাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে।' উল্লেখ্য, ভারতীয় সময় সকাল ৮ নাগাদ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর কথা ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । এরপরেই শুরু হয় একের পর হামলা।তারপরেই ইউক্রেনে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ইউক্রেনে (Ukraine) অবস্থিত ভারতীয়দের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, 'ইউক্রেনের বর্তমান অবস্থা একেবারেই অনিশ্চিত। আপনারা শান্তি বজায় রাখুন, যে যেখানে আছেন, নিরাপদ আশ্রয়ে থাকুন। বাড়ির বাইরে বের হবেন না। হোটেল ইত্যাদি কোনও আশ্রয় থাকলে, সেখানেই থাকুন।'যদিও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এখন পর্যন্ত কেউ আটকে থাকার খবর না থাকলেও রায়দিঘী, বসিরহাট, সোনারপুর-সহ একাধিক জায়গার ডাক্তারি পড়ুয়ারা ইউক্রেনে আটকে। যার জন্য ইউক্রেনে  বাঙালি আটকে যাওয়া ইস্যুতে কেন্দ্রের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনারের তরফে কেন্দ্রের বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এখনও পর্যান্ত রাজ্য সরকারের তরফে কোনও আউটপুট দেওয়া না হলেও বাঙালিদের আটকে থাকার ব্য়াপারে ক্রমাগত যোগযোগ রেখে চলেছে দিল্লির রেসিডেন্টা কমিশনার অফিস।