সংক্ষিপ্ত
বাইক বাহিনীকে ধরলের বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুরভোটের শেষ বেলায় চরম অশান্তি দক্ষিণ দিনাজপুরে।
বাইক বাহিনীকে ধরলের বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP Leader Sukanta Majumdar)। পুরভোটের শেষ বেলায় চরম অশান্তি দক্ষিণ দিনাজপুরে ( Dakshin Dinajpur Election 2022 ) । সকাল থেকেই দিনাজপুরে বহিরাগতদের অভিযোগ উঠেছে। এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে ধরলেন বাইক বাহিনীকে।পাশাপাশি গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বালুরঘাটের মিলন সংঘ পাড়ার দুই নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি লক্ষ্য করেন যে তৃণমূলের একটা লাইক বাহিনী সেখানে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দেখামাত্রই গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে বাইক বাহিনীতে তারা করেন তিনি। বাকিরা বাইক ছেড়ে পালিয়ে গেলেও দুইজনকে ফেলেন তিনি। এই ঘটনায় তৃণমূলের লোকেরা এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে বলে সুকান্ত মজুমদারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশের সামনেই উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটেছে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বালুরঘাট থানার আইসি অসীম গোপের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী। সেখানে ফের একবার পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতির।অপরদিকে, ছাপ্পা ভোট প্রতিবাদ করায় গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ। গুরুতর জখম ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বুথে থাকা কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মী। বিষয়টি নজরে আসতেও তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন, ইভিএম আছাড় মেরে ভেঙে ফেলা হল, এজেন্টকে মারধোর, উত্তাল বারাসত-দমদম
অপরদিকে, এদিন বালুরঘাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিএলআরও অফিসে দেদারে ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছে। তীর তৃণমূলের দিকে। বালুরঘাট পৌরসভার নতুন ১ নম্বর ওয়ার্ডের ১, ২ ও ৩ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা করানোর। বহিরাগতরা এসে ছাপ্পা করাচ্ছেন। বিজেপি প্রার্থী বাধা দিলে পরে বহিরাগত তৃণমূলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী অরিজিৎ মহন্ত। এই ওয়ার্ডে দীর্ঘক্ষণ ধরে তৃণমূলের তরফ থেকে ছাপ্পা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ এই ওয়ার্ডে বিজেপি ছাপ্পা চালাচ্ছে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাট শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পুলিশ লাইন এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহঃ নাসিম সহ বিশাল পুলিশবাহিনী।
এদিন সকাল থেকেই একের পর এক অভিযোগ উঠে আসতে থাকে দক্ষিণ দিনাপুরে। তবে এখানে পুর এলাকাতেই কোনও স্পর্শকাতর বুথ নেই বলে আগে খবর ছিল। যদিও তার জন্য ভোটের আগে থেকেই কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি কমিশন (WB Election Commission)। কারণ এমনিতেই এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিজেপির ভোট করার আবেদন খারিজ হয়েছে কোর্টে। কোর্ট কমিশনকে স্পষ্ট করেছে যদিও কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটে তার দায় নিতে হবে কমিশনকেই। সুতরাং স্পর্শকাতর বুথ না থাকলেও এখানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর পুরসভার জন্য ৬৫০ জন পুলিশ নিয়োগ রয়েছে। দুটি পুরসভায় মিলিয়ে প্রায় ৮০০ জন ভোট কর্মী রয়েছে। কোনওরকম সমস্যা হলে পরে সবসময় জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কুইক রেসপন্স টিম মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার রাহুল দে।