সংক্ষিপ্ত

 রামপুরহাট পুরসভায় পাশাপাশি দুই ওয়ার্ডে  একই পরিবারের কংগ্রেস প্রার্থী স্বামী-স্ত্রী। তৃণমূলের কটাক্ষ, ' ওই পরিবারের সব সদস্যকে প্রার্থী করলেও কোনও লাভ হবে না।'

 

পুরভোটের ( WB Municipal Elections 2022 ) প্রাক্কালে রামপুরহাট পুরসভায় ( Rampurhat Municipality ) বড় চমক কংগ্রেসের। রামপুরহাট পুরসভায় পাশাপাশি দুই ওয়ার্ডে  একই পরিবারের কংগ্রেস প্রার্থী স্বামী-স্ত্রী। তৃণমূলের কটাক্ষ, 'কংগ্রেস দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এমনটা করেছে। তবে ওই পরিবারের সব সদস্যকে প্রার্থী করলেও কোনও লাভ হবে না।'

১৮ ওয়ার্ডের রামপুরহাট পুরসভায় ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড নজরকাড়া। কারণ ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সৈয়দ সিরাজ জিম্মি কংগ্রেসের টিকিটে চার বার জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও কংগ্রেসের টিকিটে দুবার জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন তিনি। জিম্মি এবার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। আর তাঁর বসত বাড়ি ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী করা হয়েছে রোসিদা খাতুনকে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এবার কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন জিম্মির হাত ধরে পুরসভায় কাউন্সিলর হিসাবে পা রাখা জামাল উদ্দিন শেখ ওরফে অমল। তাঁরই স্ত্রী সাহিনা খাতুন দাঁড়িয়েছেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। বৃহস্পতিবার প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার শুরু করেন স্বামী-স্ত্রী।অমল বলেন, 'দলের সিদ্ধান্তে স্বামী-স্ত্রী ভোটে দাঁড়িয়েছি। গত পুরসভায় আমি কংগ্রেস কাউন্সিলর ছিলাম। এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছি। এবার অনেক বাধা বিপত্তিকে কাটিয়ে আমরা প্রচার শুরু করলাম। তারপরও শাসক দলের হুমকি সব সময়। আমাদের পোষ্টার ছিঁড়ে দিচ্ছে। কেউ হ্যান্ডবিল বিলি করলে কেড়ে নিচ্ছে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীর স্বামী।'

আরও পড়ুন, মমতা হলেন দুর্গা, অসুর শাহ-মোদী, তৃণমূল প্রার্থীর বিতর্কিত পোস্টারে উত্তাল মেদিনীপুর

যদিও রোসিদা খাতুনের স্বামী ভিক্টর আলি বলেন, 'উনি কংগ্রেসের টিকিটে জিতে তৃণমূলে গিয়েছিলেন। পরে আবার কংগ্রেসে ফিরে যান। ফলে মানুষ তাঁর প্রতি আর আস্থা রাখতে পারছে না। তাঁর সঙ্গে কোন মানুষ নেই। মিথ্যা অভিযোগ করছে।' জিম্মি বলেন, 'উনার সঙ্গে মানুষ নেই। অহেতুক দুটি ওয়ার্ডে দাঁড়িয়ে নিজেদের এবং কংগ্রেসের মতো একটি জাতীয় দলকে হাস্যকর জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। আমাদের কাউকে হুমকি দিতে হয় না। আতঙ্কের কিছু নেই, প্রচারে মানুষের উচ্ছ্বাস দেখলেই বুঝতে পারবেন মানুষ কতটা খুশি ।'জেলা কংগ্রেস সভাপতি মিল্টন রশিদ বলেন,'ভোটে হারজিত আছেই। আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা যে সাহস দেখিয়ে এখনও পর্যন্ত ময়দান ছাড়েনি এতেই এমি খুশি।'