সংক্ষিপ্ত
পুরভোটে বিশেষ করে স্পর্শকাতর' জায়গা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে ভাটপাড়া এলাকাকে। সেই সক্রিয় নিরাপত্তার জেরেই পুরভোটের আগে বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেল ভাঁটপাড়া, এদিন আটটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করল পুলিশ।
২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের পুরভোট ঘোষনা করেছে নিবাচন কমিশন (WB Election Commission)। যার জন্য রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হচ্ছে। আর সেই সক্রিয় নিরাপত্তার জেরেই পুরভোটের আগে বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেল ভাঁটপাড়া। এদিন আটটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করল পুলিশ (Police)।
বিশেষ করে স্পর্শকাতর' জায়গা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে ভাটপাড়া, জগদ্দলের এলাকাকে।এর আগে বারবার অশান্ত হতে দেখা গেছে ভাটপাড়া জগদ্দেলর বিভিন্ন এলাকাকে। তাই পুরভোটের আগে জগদ্দল থানার পুলিশের তরফ থেকে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। থানার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানোর কাজ করছেন জগদ্দল থানার আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এর মধ্যেই তল্লাশির সময় আজ ভাটপাড়া পুরসভার ১৮ নং ওয়াডের জগদ্দলের সার্কাস লাইন এলাকা থেকে পাওয়া গেল আটটি পেট্রোল বোমা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালবেলা পুলিশ আধিকারিকরা পুরো বাড়ি ঘিঞ্জি এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁরা পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত দেখতে পান আটটি পেট্রোল বোমা। জানা গিয়েছে, তল্লাশি চালানোর সময় শুক্রবার একটি প্লাস্তিক ব্যাগে দেখা গিয়েছে আটটি পেট্রোল বোমা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জগদ্দল থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভার পর একাধিকবার বোমাবাজি হয়েছে ভাটপাড়াতে। মূলত ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এবার পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে বোমাবাজি। বোমার ধোঁয়ার ঢেকে যায় এলাকা। ধোঁয়া সরলে দেখা যায়, গুরুতর জখম দুই পুলিশ কর্মী। তৃতীয় জন অল্প জখম । আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের তাদের প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল পরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃণমূলের দাবি,' এলাকার দুষ্কৃতিরাই এলাকা দখলের জন্য এই বোমাবাজি করছে। তাঁরা যে দলের হোক না কেন দলমত নির্বিশেষে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করুক।'
তবে এই নিয়ে একাধিকবার বোমাবাজিতে উত্তাল হয়েছে ভাটপাড়া। জুন মাসের শেষেও ভাটপাড়ায় ব্যাপক বোমাবাজী হয়। ভাটপাড়া থানার পুলিশ এবং বোমাবাজির মধ্যে পড়ে জখম হয় সেবার এক পুলিশকর্মী, পুলিশকর্মী নাম এসআই সুব্রত গোস্বামী । মে মাসে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে গুরুতর জখম স্থানীয় এক যুবকের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় একাধিক। এখানেই শেষ নয়, ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। আরও অভিযোগ, ভাঙচুর চালানো হয় চারটি বাড়িতে । দুটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুস্কৃতিরা। দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়। সেবার তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। স্বাভাবিকভাবেই এই এলাকা নিয়ে উদ্বেগের মুখে পুলিশ প্রশাসন।