সংক্ষিপ্ত

পুরভোটের টিকিট না পেয়ে ডিভোর্সকাণ্ড দমদমে। দক্ষিণ দমদম পুরসভায় ভোটে টিকিট না পাওয়ার কারণে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে, শেষ অবধি তা বিবাহ বিচ্ছেদের আকার নেয়। ইতিমধ্যেই আলাদা থাকা শুরু করে দিয়েছেন স্বামী এবং স্ত্রী। 

পুরভোটের (WB Municipal Elections 2022) টিকিট না পেয়ে ডিভোর্সকাণ্ড দমদমে। দক্ষিণ দমদম পুরসভায় ( South Dumdum Municipality) ভোটে টিকিট না পাওয়ার কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা বাধে। বিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে, শেষ অবধি তা বিবাহ বিচ্ছেদের আকার নেয়। ইতিমধ্যেই আলাদা থাকা শুরু করে দিয়েছেন স্বামী এবং স্ত্রী। স্ত্রী রীতা রায়চৌধুরীকে বিবাহ বিচ্ছেদের আইনি নোটিশ শেষ অবধি পাঠিয়ে দিলেন স্বামী সুরজিৎ রায় চৌধুরী(TMC Candidate Surojit RoyChowdhury )।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে প্রথমে রীতা রায়চৌধুরীকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু পরে সেই নাম বাতিল হয়ে যায়। এদিকে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১০ নং ওয়ার্ড থেকে তাঁর স্বামী স্বামী সুরজিৎ রায় চৌধুরীর প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করে শাসকদল। এদিকে দেখা যায়, তৃণমূলের প্রার্থী পদের তালিকায় সুরজিৎ রায় চৌধুরীর প্রার্থী হিসেবে নাম থাকলেও দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে প্রথমে রীতা রায়চৌধুরীর নাম নেই। ওই ওয়ার্ডে টুম্পা দাসের নাম নতুন করে প্রার্থী পদ হিসেবে ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপরেই কুরুক্ষেত্র শুরু।  স্ত্রী রীতা রায়চৌধুরী এবং স্বামী সুরজিৎ রায় চৌধুরীর মধ্যে বিবাদ পৌঁছয়  চরমে। তবে সাদামাঠা বিবাদ নয়, এতটাই প্রার্থী ইস্যুর পাল্লা ভারি হয় যে, তা বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা অবধি শেষপর্যন্ত গড়িয়েছে। 

আরও পড়ুন, রাজ্য পুলিশকে দিয়েই কি হবে ১০৮ পুরভোট, কমিশনকে চিঠিতে কী লিখে পাঠাল নবান্ন

ইতিমধ্যেই উকিলকে দিয়ে স্ত্রী রীতা রায়চৌধুরীকে বিবাহ বিচ্ছেদের আইনি নোটিশ  পাঠিয়েছেন স্বামী সুরজিৎ রায় চৌধুরী। স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করেছেন। সুরজিৎকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছেন রীতা রায়চৌধুরী। নির্দল হয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই জোড়া পাতার প্রতীকে মনোনয়ন জমাও দিয়েছেন তিনি। জোড়া পাতার প্রতিক ব্যানার, হোর্ডিয়ে হোর্ডিয়ে ছয়লাপ হয়েছে গোটা দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ড। তৃণমূলের কোনও দেওয়াল লিখন এমনকি নিদেনপক্ষে দলীয় পতাকাও চোখে পড়ছে না। এই ঘটনার পর  স্বামী সুরজিৎ রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, দল প্রথমে টিকিট দেবে বলে ঘোষণা করলেও পরে টিকিট বাতিল করেছে। তারপর থেকেই পরিবারে অশান্তি শুরু। এরপর শেষে সিদ্ধান্ত নেই দল সবার আগে আমার কাছে। সেই কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছি। স্ত্রী রীতা রায়চৌধুরী আমাকে ছেড়ে বাপেরবাড়ি চলে গিয়েছে।'

প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের আগেও শিরোণামে এসেছিল বিজেপির সৌমিত্র খাঁ এবং তাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ-র ঘটনা। তবে তাও বোধয় দক্ষিণ দমদম পুরসভার রায়চৌধুরী দম্পতির রূপ নেয়নি। দল বদলনোর জেরে বরং বিজেপির সৌমিত্র খাঁ এবং  তৃণমূলে যোগাদানের পর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলের মাঝে মান-অভিমান-প্রেম দেখেছিল সারা বাংলা। তবে এবার সেই সীমারেখাও পার করেছে দমদমের রায়চৌধুরী পরিবারে।