সংক্ষিপ্ত
জন্মদিনে ডেকে নাবালিকাকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। এরপরেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। যৌন নির্যাতন এতটাই হয়েছিল যে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে ব্যাপক রক্তপাত ঘটে। রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস।
নদিয়ার হাঁসখালিতে গণধর্ষণের জেরে নাবালিকা প্রেমিকার মৃত্যুতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হাঁসখালি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমর গোয়ালার ছেলে ব্রজগোপাল গোয়ালাকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ১৪ বছরের নাবালিকাকে জন্মদিনে ডেকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। এরপরেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। রাতে এক মহিলাকে দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। অভিযোগ এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে ওই নাবালিকা। এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। এরপরেই অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। এখানেই শেষ নয়, অপরাধ ঢাকতে দেহ সৎকারে বাধ্য করে বজ্রগোপাল। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রবিবার গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ওই ছেলেকে। এই ঘটনায় মহিলাদের নিরপত্তাহীনতায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে নদিয়া জেলায়।
রাতে পার্টিতে ডেকে নাবালিকাকে বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে, রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস
পুলিশ সূত্রে খবর, ৪ এপ্রিল রাতে জন্মদিনের পার্টিতে ডাকা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। এরপর জন্মদিনে ডেকে তাকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। এরপরেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। যৌন নির্যাতন এতটাই হয়েছিল যে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে ব্যাপক রক্তপাত ঘটে। রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস। রাতে এক মহিলাকে দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। অভিযোগ এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে ওই নাবালিকা। এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। এরপরেই অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।এদিকে নৃশংসঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। অপরাধ ঢাকতে দেহ সৎকারে বাধ্য করে বজ্রগোপাল। তাই মাঝে কয়েকদিন কেউ কিছু জানতে পারেনি। তবে সত্য কখনও চাপা থাকে না। ঘটনার পরেই নাবালিকার পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন, ঝালদাকাণ্ডে ধৃতদের হেফাজতের অনুমতি না পেয়ে বিচারকের বাংলো পৌঁছল সিবিআই, কবে তলব আইসি-কে
মৃত্যুর পরে জোর করে দাহ
শনিবার হাঁসখালি থানায় নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগে জানানো হয়। মেয়ের মৃত্যুর পরে জোর করে দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে। আর তাতে জড়িত ছিল ব্রজগোপাল এবং তার দলবল। এরপরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ব্রজগোপালকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করে হাঁসখালি থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মৃতের মা-বাবা গণধর্ষণের অভিযোগ করলেও ,এফআইআর-এ ধর্ষণের অভিযোগ করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ। তাঁছাড়া ৪ দিন ধরে কী করেছে হাসখালি থানার পুলিশ শেই প্রশ্নও উঠেছে।