সংক্ষিপ্ত
১৫ জানুয়ারি শনিবার নবান্নের বৈঠকে বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রনে দেওয়া হল আংশিক ছাড়। ৫০ জনের বদলে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা বাড়িয়ে করা হল ২০০ জন।
আপনার একমাত্র কন্যা বা পুত্র সন্তানের বিয়েতে নিমন্ত্রিতের (Invitation) সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত? করোনার দাপটে আপনার বিয়ের অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রেনর লিস্টে কাঁচি চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন? ভাবছেন নিমন্ত্রিতের তালিকায় কাকে রাখবেন আর কাকে ছেঁটে ফেলবেন....তবে এবার আপনার সেই দুশ্চিন্তা কিন্তু খানিকটা দূর হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, ১৫ জানুয়ারি শনিবার নবান্নের বৈঠকে বেশ কিছু জিনিসে ছাড় দেওয়া হল। রাজ্যে করোনা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ল আরও ১৫ দিন। যে জিনিস গুলোর ওপর এই দফার বৈঠকে ছাড় দেওয়া হল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রিতের সংখ্যা বৃদ্ধি। উল্লেখ্য, ঝড়ের গতিতে করোনা সংক্রমন যেভাবে বাড়ছিল সেই বিষয়টিকে নজরে রেখে গত ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী করোনা (Covid) বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন করোনা যেভাবে চোখ রাঙাচ্ছে তাতে একসঙ্গে বেশি মানুষের জমায়েত করলে সংক্রমন আরও দ্রুত গতিতে ছড়াবে। বিয়ে বাড়ির এই নিমন্ত্রিতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে যথেষ্ঠ চাপে পড়েছিলেন বিয়ে বাড়ির লোকজন। তবে শনিবার নবান্নের বৈঠকে বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রিনের নিমন্ত্রিনের সংখ্যায় পরিবর্তন এনে সেটিকে ২০০ জন পর্যন্ত বাড়ানো হল (Invitation List Increased Upto 200)। বিয়ে বাড়ি সংক্রান্ত বিধিনিষেধে আংশিক ছাড় দেওয়ায় আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে বিয়ে বাড়ির মানুষগুলো।
১৫ জানুয়ারি শনিবার নবাবন্নের তরফে যে নয়া জারি করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, বাড়ির নিমন্ত্রিতের সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও একটি বিষয় বলা হয়েছে। বিয়ে বাড়ির মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক নিমন্ত্রিতের সংখ্যা হওয়া বাঞ্ছনীয়। আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরই শুরু হয়ে যাবে নতুন বছরের প্রথম বিয়ের মরশুম। আর যারা এই বিয়ের মরশুমে চার হাত এক করে নতুন জীবন গড়ার পথে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে চলেছেন তাঁদের জন্য শনিবার নবান্নের এই নয়া নির্দেশিকা খুব স্বাভাবিকভাবেই মুখে হাসি ফোটাচ্ছে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় থেকেই বিয়ে বাড়ি সহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নানা রকম বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু বিয়ে বাড়ির মত জায়গারয় মাত্র ৫০ জন নিমন্ত্রিতের তালিকা তৈরি করাটাও খুব চাপ সৃষ্টি করছিল বিয়ে বাড়ির লোকজনের ওপর। নিমন্ত্রিনেতর সংখ্যা কীভাবে ৫০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন সেটা ভেবে কুল কিনারা করতে পারছিলেন না। তবে সপ্তাহের শেষ প্রান্তে এসে নবান্নের নয়া নির্দেশিকায় মুখে এখন চওড়া হাসি আসন্ন বিয়ে বাড়ির পরিবারগুলোর মুখে।
আরও পড়ুন-চাঞ্চল্যকর খবর, ১৩ই জুন 'মমতা ব্যানার্জি'-র বিয়ে, ছাপা হল বিয়ের কার্ড
জানুয়ারি মাস থেকেই শুরু হয় বিয়ের মরশুম। ২৪ জানুয়ারি অনেক পরিবারেই বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে গিয়েছে। সেই পরিবারগুলোর তরফে জানান হয়েছে, বিয়ে বাড়ির জন্য ৫০ জন নিমন্ত্রিনের তালিকা কি করে তৈরি করবেন সেই বিষয়টি খুবই ভাবাচ্ছেল। তবে রাজ্য সরকারের নয়া নির্দেশিকায় বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রিতের সংখ্যার ওপর যে আংশিক ছাড় দেওয়া হল তাতে এখন কিছুটা স্বস্তি পেলেন তাঁরা। একই সঙ্গে তারা অবশ্য বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে সকল বিধি নিষেধ মেনেই বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান করবেন। নিমন্ত্রিনের সংখ্যা ২০০ জনের কম রাখতেই তাঁরা চেষ্টা করবেন। আজও অনেকে যৌথ পরিবারে বসবাস করে থাকেন। সেই পরিবারের পক্ষে ৫০ জনের নিমন্ত্রিতের তালিকা তৈরি করতে খুবই সমস্যায় পড়েছিলেন। তবে শনিবারে রাজ্য সরকারের নয়া নির্দেশিকা তাঁদের জন্য মঙ্গলময় হয়েছে।