সংক্ষিপ্ত
এদিন সভার শুরুতেই চাঁচাছোলা ভাষায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে একযোগে নিশানা করেন অধীর। শুরুতেই এনআরসি ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে 'গোপন আঁতাতের' অভিযোগ করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা।
পুরভোট নিয়ে গোটা রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এদিকে ভোট নিয়ে দোলাচলের মাঝেই বিস্ফোরক লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী (Leader of the Opposition in the Lok Sabha Adhir Chowdhury)। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি মুর্শিদাবাদের (Congress in Murshidabad) লালগোলায় শনিবার বিকেলে কার্যত রণংদেহী মেজাজে দেখা যায় অধীরকে। এদিন মুর্শিদাবাদের কর্মী সভায় মোদী-মমতার বিরুদ্ধে কার্যত একযোগে তোপ দাগতে দেখা যায় অধীর চৌধুরীকে। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে এদিনের কর্মী সভায় কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে অন্যতম বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক আবু হেনাও।
এদিন সভার শুরুতেই চাঁচাছোলা ভাষায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে একযোগে নিশানা করেন অধীর। শুরুতেই এনআরসি ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে 'গোপন আঁতাতের' পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, “NRC হল রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি করা একটি ভুলভুলাইয়া, NRC আদপে একটি ধাঁধা। যতদিন বিধানসভা নির্বাচন ছিল ততদিন NRC ছিল, ভোট শেষ এনআরসিও শেষ। আবার যখন ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন আসবে তখন মোদী ও দিদি মিলে আবার এনআরসিকে ঘুম থেকে ডেকে তুলবে। এটা আসলে কেন্দ্র রাজ্যের রাজনৈতিক 'গটাপ গেম'।” অধীরের এই মন্তব্য নিয়েই বর্তমানে ফের উত্তাল হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। যদিও এই ইস্যুতে এখও মুখ খুলতে দেখা যায়নি তৃণমূল বা বিজেপিকে।
অন্যদিকে এদিনের সভা থেকেই মমতার বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে অধীর বলেন, “আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনভাবেই বিজেপির বিরোধী নয়, বরং বিজেপির সমর্থক। সেক্ষেত্রে ওনার যদি মূল লক্ষ হয় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা তাহলে গোয়া না গিয়ে উত্তরপ্রদেশ যান। প্রতিদিন উত্তরপ্রদেশে বিজেপি নেতৃত্ব দল ছেড়ে পালাচ্ছে। তাদের নিজের দলে নিয়ে এসে লড়াই করুন। আপনি মোদী বিরোধী নয় আপনি হলেন কংগ্রেস বিরোধী। কংগ্রেসকে ধ্বংস করাই আপনার একমাত্র উদ্দেশ্য।” তবে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের মাটি পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে আশাবাদী অধীর চৌধুরী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,"মুর্শিদাবাদের মাটি কংগ্রেসের ছিল আছে আর তা থাকবে। হয়তো সাম্প্রতিক কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। তবে অদূর ভবিষ্যতে কংগ্রেস তার পূর্বের জায়গা ফিরে পাবে মানুষের জনসমর্থেন মধ্য দিয়েই।" তবে অধীরের পাল্টা এখও কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি বাংলার শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের।