রাস্তা আটকে সরস্বতী পুজোর চাঁদা আদায়ের চেষ্টা শিশুর গলায় আটকে গেল দড়ির ফাঁস ঘটনায় এক গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ অমানবিকতার সাক্ষী থাকল সিউড়ি
আর ক'দিন পরেই সরস্বতী পুজো। চাঁদার জুলুম থেকে রেহাই পেল না শিশুও! তার গলায় নাইলনের দড়ির ফাঁস লাগিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় এক গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অমানবিকতার সাক্ষী থাকল বীরভূমের সিউড়ি।
কোথাও বাঁশ, তো কোথাও আবার দড়ি। সিউড়ি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তা আটকে চাঁদা আদায় করছেন সরস্বতী পুজোর উদ্যোক্তারা। বৃহস্পতিবার সকালে টিউশনি শেষে স্বপনীল চৌধুরী নামে এক শিশুকে স্কুটিতে চাপিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তার শিক্ষিকা। ওই মহিলার দাবি, শহরের চাঁদনি পাড়া এলাকার উদয়ন ক্লাবের সামনে স্কুটি থামিয়ে তাঁর কাছে সরস্বতী পুজোর জন্য চাঁদা চান দু'জন গৃহবধূ। তাঁদের সঙ্গে কয়েকজন বাচ্চা ছেলেও ছিল। টাকা দিতে অস্বীকার করলে নাইলনের দড়ি ফেলে, পথ আটকানোর চেষ্টা করা হয় অভিযোগ। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। ওই শিক্ষিকার বক্তব্য, তিনি যখন স্কুটি নিয়ে এগনোর চেষ্টা করেন, তখন স্বপনীলের গলায় নাইলনের দড়ির ফাঁস লেগে যায়! কোনওমতে রক্ষা পায় সে। এদিকে এই ঘটনার পরেই নড়চড়ে বসে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় মামনি রামজী নামে এক গৃহবধূকে। এর আগেও সিউড়িতে বেশ কয়েকজন চাঁদার জন্য মামনির জুলুমবাজির শিকার হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে জুলুমবাজি, হেনস্থা, এমনকী খুনের চেষ্টার অভিযোগেও মামলাও দায়ের করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর হুমকির জের, বীরভূমে জনরোষের মুখে ইন্টারনেট সাথী-রা
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই পথ আটকে চাঁদা আদায় করার হিড়িক বাড়ছে সিউড়িতে। কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কোথাও রাস্তা আটকে বা জোর করে চাঁদা আদায় করলেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে জানিয়েছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং।
