সংক্ষিপ্ত
মালদায় বাজ পড়ে এক সঙ্গে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছেন মালদার জেলা শাসক
মালদায় বাজ পড়ে একই সঙ্গে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়বৃষ্টির সময় আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়েছিল। সেই সময়ই বাজ পড়ে এক সঙ্গে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছেন মালদার জেলা শাসক নিতিন সিংহানিয়া। তিনি বলেন, 'বজ্রপাতে মৃত ব্যক্তিদের দুর্ঘোগ তহবিল থেকে ২ লক্ষ চাকা করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হবে পরিবারের সদস্যদের। নির্বাচনী বিধিনিষোধ রয়েছে। সেই কারণেই প্রশাসনের পক্ষ থেকেই নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে।'
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি হয় মালদায়। সেই সমযই পুরাতন মালদার সাহাপুরে বজ্রপাতের কারমে এক নাবালক-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়। মৃতরা হল- ৪০ বছকরের চন্দন সাহানি,২১ বছরের মনোজিৎ মণ্ডল, ১৬ বছরের রাজা মৃধা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ঝড়বৃষ্টির আম কুড়াতে গিয়েছিল। সেই সময়ই বাজ পড়তে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যিকে গাজোলে আদিনাতে বজ্রপাতের কারণে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রের মৃত্যু হয়। মৃত ১৯ বছরের অসিত সাহা। অসিতও বৃষ্টির সময় আম বাগানে গিয়েছিল আম কুড়াতে। মানিকচকেও বজ্রপাতের কারণে দুই নাবালকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। মৃতরা হল ১১ বছরের শেখ সাবারুল ও শেখ রানা, ৬৫ বছরের অতুল মণ্ডলের। ঝড়ের সময় জমিতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতের কারণে মৃত্যু হয় ৪৫ বছরের সুমিত্রা মণ্ডলের। হরিশ্চন্দ্রপুরে বজ্রপাতের কারণে এক দম্পত্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলে ২৩ বছরের নয়ন রায়। ও ২০বছরের প্রিয়াঙ্কা সিনহা। ইংরেজ বাজারে ২৩ বছরের পঙ্কজ মণ্ডলের মৃত্যু হয় জমিতে কাজ করতে গিয়েছে। এই এলাকায বজ্রপাতের কারণে দুই জন আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
বর্তমানে বজ্রপাত নিয়ে আলিপুর হাওয়া অফিস বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। ঝ়ড় ও বৃষ্টির সময় খুব প্রয়োজন ছা়ড়া বাড়ি থেকে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। বৃষ্টির সময় পাকা ছাদের তলায় আশ্রয় নিয়ে বলেছে। কিন্তু সেই সময় উপেক্ষা করেই মালদায় বৃষ্টির সময় খোলা আকাশের নিচে থাকায় বেঘোরেই প্রাণ গেল ১১ জনের। এদের মধ্যে দুই জন মাত্র জমিতে কাজ করছিল। বাকিরা সকলেই বৃষ্টির পরে আমবাগানে আম কুড়াতে গেলে প্রাণ বাঁচতে পারত।