সংক্ষিপ্ত

বিদ্যুৎ না থাকায় চালানো হয়নি জেনারেটরও। ফলে অক্সিজেন এবং নেবুলাইজার না দিতে পারায় একরত্তি ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে।

ফের স্বাস্থ্য গাফিলতিতে মর্মান্তিক মৃত্যু সদ্যোজাতের। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগরের খানসাহেব আবাদ এলাকার বাসিন্দা শিবশঙ্কর মোহতার মেয়ে তুলিকার মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোরগোল পড়েছে। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে এ দিন সকালে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। অভিযোগ, হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে গিয়ে শিবশঙ্কর দেখেন, জরুরি বিভাগে চিকিৎসক নেই। মেয়ের তখন অক্সিজেন প্রয়োজন।

শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে হাসপাতালে মেলেনি কোন চিকিৎসক। এমনকি বিদ্যুৎ না থাকায় চালানো হয়নি জেনারেটরও। ফলে অক্সিজেন এবং নেবুলাইজার না দিতে পারায় একরত্তি ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে। শিবশঙ্করের দাবি, হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মী জানান, দুর্যোগের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। ফলে, অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি শিবশঙ্করদের বাইরে থেকে নেবুলাইজ়ারের ওষুধ কিনে আনতে বলেন। এও বলেন, বাইরে থেকে কিনে আনলেও তা দিতে সময় লাগবে।

শিবশঙ্করের অভিযোগ, হাসপাতালে জরুরি ব্যবস্থা থাকলেও তা ব্যবহার করা হয়নি। আধ ঘণ্টা পরে চিকিৎসক এসে চিকিৎসা শুরু করার আগেই তুলিকা মারা যায় বলে তাঁর দাবি। অভিযোগ, মেয়েটি মারা যাওয়ার পরে জেনারেটর চালু করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফে জরুরি ব্যবস্থায় জেনারেটর থাকার কথা। সেখানে ওই হাসপাতালে জেনারেটর থাকলেও সময়ে তা ব্যবহার করা হয়নি কেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। এর আগেও সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে নানা অভিযোগ সামনে এসেছে। শিবশঙ্কর বলেন, ‘‘বিনা চিকিৎসায় মেয়েটা মারা গেল। এর জন্য দায়ী কে? আর কত দিন সাগরের বাসিন্দাদের কপালে এই পরিষেবা জুটবে!’’

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।