মূক ও বধির এক গৃহবধূকে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক TMC নেতার বিরুদ্ধে। পুলিশে অভিযোগ করার পর অভিযুক্ত পরিবারটিকে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় এবং পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

মূক ও বধির গৃহবধূকে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ। ঘটনার অভিযোগ TMC নেতার দিকে। অভিযুক্ত স্ত্রী মুহুয়ারাপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদ্য। নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ করেছেন যে, তারা পুলিশে অভিযোগ করতেই পাল্টা তাঁদের ওপর অত্যাচার চালায় তৃণমূল নেতা। জানা গিয়েছে, পানীয় জলের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ততে গ্রেফতার করে মুরারই থানার পুলিশ। স্বামী বাড়ি ফিরে দেখলেন বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। চিৎকার করতেই ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় TMC নেতা।

পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার স্বামী মুরারই থানার একটি গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে যখন সে বাড়ি ছিল না, সেই সুযোগে TMC নেতা তার ঘরে ঢোকে। তাঁর মূক ও বধির স্ত্রীকে মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতার স্বামী বাড়ি ফিরেই দেখে দরজা বন্ধ। চিৎকার করলে তৃণমূল নেতা দরজা খুলে তাঁকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। পরে ওই নেতা তাঁদের হুমকি দেয়, থানায় জানালে তাঁদের মেরে ফেলা হবে।

এই বিষয় নির্যাতিতা স্বামী জানিয়েছেন, আমার স্ত্রী মূক ও বধির। এই সুযোগে যত শারীরিক অত্যাচার করা যায় ততটা করছে। মঙ্গলবার রাতেই মুরারই থানায় গিয়েছিলাম। জানা গিয়েছে, বুধবার তাঁর বাড়ির পানীয় জলের ট্যাপ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পলাতক। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এই অভিযুক্তকে তিনদিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছে রামপুরহাট আদালত। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার পুলিশি হেফাজতে রয়েছে বর্তমানে।

এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সর্বত্র। বর্তমানে প্রায়শই খবরে আসছে ধর্ষণের ঘটনা। আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ থেকে পার্কস্ট্রিটে সিভিক ভলেন্টিয়ারের শীলতাহানির ঘটনা কারও অজানা নয়। এবার ধর্ষিতা হলেন এক স্ত্রী মূক ও বধির গৃহবধূ। ঘটনাটি মুরারই থানার একটি গ্রামের। থানায় অভিযোগ করলে অত্যাচার করা হয় সেই পরিবারের ওপর বলে খবর।