সংক্ষিপ্ত

ইন্ডিয়া গেট থেকেঃ রাজনৈতিক মহলে প্রকাশ্যে যেমন অনের কিছু ঘটে তেমনই পর্দার আড়ালেও অনেক ঘটনা ঘটে যায়। মতামত প্রকাশ থেকে ক্ষমতা দখলের খেলা- যার একটি রাজৈনিক ভিত্তি থাকে। এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেই জাতীয় খবরগুলি আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরি।

 

ভারতের রাজনীতির অন্তরমহলে প্রতি সপ্তাহেই অনেক ঘটনা ঘটে। তারই কয়েকটা পাঠকের কাছে পেশ করার চেষ্টা করে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। এবারও From The india gate এর ২৮ তম এপিসোডে রইল তেমন কিছু টানাপোড়েনর কথা।

কেরলর মার্কসবাদ

কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র দুই SFI নেতা কেলেঙ্কারিতে জড়়িয়ে পড়া পরে ট্রোলের সুনামিতে ডুবে গেছে। SFI নেতা আরশো, মহারাজা কলেজের এনার্কুলাম ক্যাম্পাসের একজন বিশিষ্ট মুখ। কিন্তু তিনি কোনও পরীক্ষা না দিয়েই পাশ করেছে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর সহকর্মী আরও একধাপ এগিয়ে- তিনি মহারাজা কলেজের জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে দুই বছর দুই কলেজে গেস্ট লেকচালার হিসেবে কাজ করেছেন। মহারাজা কলেজ কেরলে এসএফআই-এর মূল ঘাঁটি। কলেজ অধ্যক্ষ প্রথমে বলেন, আরশো ঘটনা নিয়ে কারসাজি করেছে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি দুবার তাঁর বক্তব্য পাল্টে SFI নেতাকে ক্লিনচিট দিয়েছেন। কিন্তু নথি জালিয়াতির অভিযোগে বিদ্যার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

তবে কেরলের সিপিএম এই ভণ্ডামি থেকে শিক্ষা নিয়েছে। পার্ট কমরেডদের অফিস অধিকারিক হওয়ার জন্য একটি হয়সসীমা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত বিয়েছে। বর্তনাবে এমনকি তাদের বিশের দশকের শেষের দিকের লোকদেরও পরীক্ষা করা হচ্ছে। তরুণ কমরেডরা নেতৃত্বের পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগে তাদের বয়সের প্রমাণপত্র দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে।

গ্রুপই শেষকথা

কর্ণাটকে কংগ্রেসের সহথেকে বড় নেতা সিদ্দারামাইয়া ও ডিকে শিবকুমারের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। কিব্তু কেরলে তার দলীয় যন্ত্র ভেঙে পড়েছে। ব্লক স্তরের অফিস আধিকারিকদের সম্প্রতিক ঘোষণায় কেরলায় একটি প্যান্ডোরার বাক্স খুলেছে।

কেরালার অ্যান্টনি গোষ্ঠী, যা এ কে অ্যান্টনির অবসর গ্রহণ এবং ওমেন চান্ডির অসুস্থতার পরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল, এর প্রতিবাদে জেগে উঠেছে। চান্ডির ম্যান ফ্রাইডে বেনি বেহেনান খোলাখুলি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে A গ্রুপ তাদের সমস্ত কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করবে যদি তাদের পাইয়ের টুকরো দেওয়া না হয়।

বিশিষ্ট নেতা রমেশ চেনিথালাও বিরোধী নেতা ভি ডি সতীসানের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রকৃতপক্ষে, অসন্তোষের পুরো ধারাটি আরেক ভিন্নমতাবলম্বী নেতা এম এম হাসানের কথায় ফুটে উঠেছে। KPCC সভাপতি খুবই চিন্তিত মানুষ। তিনি আমাদের বিশ্ব উষ্ণায়নের সমাধান দিতে চেয়েছিলেন। তিনি কিছুটা কটাক্ষ করে বলেছিলেন আমরা একসঙ্গে আলোচনা করেছি কেন বর্ষা শুরু হতে দেরি হচ্ছে।

মরু ঝড়

গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ধুলো রাজস্থানের আকাশে। যা কংগ্রেসকে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে বাধা দিচ্ছে। এআইসিসি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও তরুণ তুর্কী শচীন পাইলটের মধ্যে এখনও সমস্যার সমাধান করতে পারেননি।

সকলের চোখ চলতি মাসের শেষের দিকে। কারণ সেই সময়ই শচীন পাইলট নতুন দল তৈরি করার হুমকি দিয়েছে। ধলকে ধাক্কা দিতে ১১ জুন কী কী করেন তাই নিয়েই চিন্তিত দলের হাইকম্যান্ড। রাজস্থান অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে পাইলট তার বন্ধু ও প্রাক্তন সাথী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে অনুসরণ করেন কিনা। সিন্ধিয়া এখন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

অম্ল - স্বপ্ন

অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও টিডিপি সুপ্রিমো এন চন্দ্রবাবু নাইডু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠক নিয়ে গুজব রীতিমত আগ্নিসংযোগের কাজ করছে। ২০১৯ সালে নাইডু বিজেপিকে বিদায় জানানোর পরে এই বৈঠকটিকে দুটি তেলেগু রাজ্যের লোকেরা একটি রাজনৈতিক জোটের দিকে সম্ভাব্য জোটের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। ভোটে পরাজয়ের পরে, নাইডু রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে বিজেপি নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছেন।

বিজেপি নেতারা নাইডুকে আগামী তেলেঙ্গনা নির্বাচনে তার শক্তি প্রমাণ করতে বলেছে। নাইডু রাজি হয়েছে। কিন্তু পারস্পরিক সহযোগিতা আশা করছে। কিন্তু বিজেপির তেলেঙ্গানা রাজ্যসভাপতি বান্দি সঞ্জয় টিডিপির সঙ্গে জোটে প্রবল আপত্তি জানানোয় সেই সম্ভাবনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে। সঞ্জয়ের অবস্থানকে সমর্থন করেছেন আরেক সিনিয়র নেতা নল্লু ইন্দ্রসেনা রেড্ডি। তাই নাইডুর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যেতে পারে।

আরও পড়়ুনঃ

আজ 'ক্র্যাশ ল্যান্ডিং' পাইলটের, পরিচ্ছন্ন রাজনীতির কথা বলেলেও নতুন দল নিয়ে নীরব শচীন

ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর তুলনা, দাড়ি নিয়ে কটাক্ষ বিজেপি নেতার

নাথুরাম গডসের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমকে একই আসনে বসালেন জেডিইউ নেতা, টার্গেট বিজেপি