সংক্ষিপ্ত
ভাঙড়ে দাঁড়়িয়ে অভিষেক বলেন, ধর্মের উস্কানি দিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভাঙড়ে আইএসএফ বিধানসভা ভোটে জিতেছিল। তারা মানুষের জন্য কোনও কাজ করেনি।
ভাঙড়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষের হয়ে প্রচারে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করেই আক্রমণ করেন আইএসএফ নেতা কথা স্থানীয় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। পাশাপাশি ভাঙড় থেকে সায়নীকে লিড দিতে হবে বলেও আহ্বান জানান অভিষেক। ভাঙড় একটা সময় তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি ঘাঁটি ছিল। গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীকে প্রচুর লিড দিয়েছিল ভাঙড়। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিল আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। রাজ্যের একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক। কিন্তু এদিন ভাঙড়ে গিয়ে সেই নওশাদকে আক্রমণ করেন অভিষেক।
ভাঙড়ে দাঁড়়িয়ে অভিষেক বলেন, 'ধর্মের উস্কানি দিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভাঙড়ে আইএসএফ বিধানসভা ভোটে জিতেছিল। তারা মানুষের জন্য কোনও কাজ করেনি। গত তিন বছর ধরে তারা বিজেপির বি টিম হয়ে কাজ করছে। এনআরসি - সিএএ যখন হচ্ছে তখন শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি মোদী সুকান্ত বা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কিছু বলেন না। কারণ টিকিটা দিল্লিতে বাঁধা।' এখানেই শেষ নয়। ১০০ দিনের কাজ নিয়েও অভিষেক নিশানা করেন নওশাদ সিদ্দিকিকে। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে এপর্যন্ত একটি চিঠি স্থানীয় বিধায়ক কেন্দ্রকে লেখেননি। তিনি আরও বলেন, তাঁরা যখন ১০০ দিনের কাজ নিয়ে দিল্লিতে আন্দোলন করছেন,তখন স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দুর প্রশংসা করছেন। তিনি নাম না করেই বলেন, স্থানীয় বিধায়ক মানুষের উন্নয়নের জন্য এলাকার উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ করেননি।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ । এদিন তাঁর হয়েই নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি নাম না করে নওশাদ সিদ্দিকিকে আক্রমণ করেন। অন্যদিকে এদিন অভিষেক নিজের কেন্দ্রেও নির্বাচনী প্রচার সারেন। তিনি দাবি করেন এলাকার মানুষ এবার তাঁকে ৪ লক্ষভোটে জয়ী করবেন। অন্যদিকে ভাঙড় থেকে সায়নীকে লিড দিয়ে বিজেপিকে উচিৎ শিক্ষা দিতে পারেন তৃণমূলের নম্বর টু।