সংক্ষিপ্ত

কী এই লুক আউট নোটিশ? কেনই বা এই নোটিশ জারি করা হয়? জেনে নেওয়া যাক।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা বিমানবন্দরে আটক করল অভিবাসন দফতর। সোমবার পরিবারের সঙ্গে দুবাই যাচ্ছিলেন তিনি। এদিন সকাল ৭টা নাগাদ তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন বলে জানা যায়। তখনই তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু কী এই লুক আউট নোটিশ? কেনই বা এই নোটিশ জারি করা হয়? জেনে নেওয়া যাক।

লুক আউট নোটিশ আদতে কী?

লুকআউট নোটিশগুলি লুকআউট সার্কুলার (LOC) নামেও পরিচিত, যা পলাতক অপরাধীদের খুঁজে বের করার জন্য জারি করা হয়। এছাড়াও, আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রয়োজন হতে পারে এমন ব্যক্তিদের প্রবেশ এবং প্রস্থানকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ ও নিরীক্ষণ করা যায় এই নোটিশ দ্বারা। এই নির্দেশিকা মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (MHA) দ্বারা জারি করা হয়। উল্লেখ্য, যদি কোনো দেশের অভিবাসন কর্মকর্তাদের কোনো পলাতক অপরাধীর বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার থাকে তবে পলাতক ব্যক্তিকে ওই কর্মকর্তা গ্রেফতার করতে পারেন।

কেন জারি করা হয় এই লুক আউট নোটিশ?

এমএইচএ দ্বারা জারি করা ভারতীয় নাগরিকদের সম্পর্কিত LOC প্রকাশের মৌলিক নির্দেশিকাগুলির নিম্নলিখিত চারটি নীতি রয়েছে -

  1. LOC ইস্যু করার অনুরোধ অবশ্যই একজন অফিসারের অনুমোদন নিয়ে জারি করতে হবে, ভারত সরকারের উপসচিব/রাজ্য সরকারের যুগ্ম সচিব/জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের পদের নিচে নয়।
  2. যেকোন ভারতীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে সমস্ত ইমিগ্রেশন চেক পোস্টের জন্য লুকআউট নোটিশ শুধুমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তৈরি করা বিন্যাসে জারি করা যেতে পারে।
  3. নোটিশ প্রদানকারী সংস্থাকে অবশ্যই অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পূর্ণ শনাক্তকরণ বিশদ ইতিমধ্যেই নির্ধারিত ফরম্যাটে দিতে হবে। অভিযুক্তের নাম ছাড়া অন্য তিনটি পরিচয়ের কম প্যারামিটারের জন্য LOC জারি করা হবে না।
  4. সাধারণত লুকআউট নোটিশ ইস্যু হওয়ার তারিখ থেকে এক বছরের জন্য বৈধ। তবে, উদ্ভবকারী সংস্থা যদি এই নোটিশের মেয়াদ বাড়াতে চায়, তাহলে এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগে তা করতে পারে।

প্রসঙ্গত, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিবাসন দফতরের কর্তারা। সেই কারণে তাঁর বিদেশ যাত্রার পথে বাধা দেওয়া হয়। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, ইডির মামলায় ইতিমধ্যেই অভিষেক ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষাকবচ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। এই আদেশ মেনে তাঁদের বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও আইনি জটিলতা থাকা উচিত নয়। তা সত্ত্বেও কেন রুজিরাকে বিমানবন্দরে বাধা দেওয়া হল, এই প্রশ্ন তুলে আবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।