সংক্ষিপ্ত

স্বস্তি নেই বায়রন বিশ্বাসের। ঘটা করে দলবদলের মাত্র সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের। আগামী সপ্তাহে শুনানি।

 

কংগ্রেস ছেড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন বায়রন বিশ্বাস। কিন্তু এবার প্রশ্ন দল বদলের পর তাঁর বিধায়ক পদ থাকবে তো? কারণ তাঁর দল বদলের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাতে সায় দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানি হতে পারে।

বায়রন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জমা পড়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয়। সোমবার হাইকোর্টের এক আইনজীবী প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে এই মামালা দায়ের করা আবেদন জানান। বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। আদালত সূত্রের খবর আগামী সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হতে পারে।

মাত্র তিন মাস আগেই সারগদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রসের টিকিটে বামেদের সমর্থন নিয়ে জয়ী হয়েছিল বায়রন বিশ্বাস। তিন মাসের মধ্যেই ডিগবাজি খেয়ে কংগ্রেস থেকে তৃণমূল শিবিরে যোগ দান করেন। কংগ্রসেরে একমাত্র বিধায়ক হিসেবে বিধানসভায় প্রতিনিধি করছিলেন তিনি। একমাত্র বিধায়ক হাতছাড়া হওয়ায় কংগ্রেস তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়নি। তাই বায়রন বিশ্বাসের পদ খারিজও হয়নি।

কিন্তু বিধানসভায় যা হয়নি তা কার্যকর করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক আইনজীবী। তিনি বায়রন বিশ্বাসের পদ খারিজের দাবিতে মামলা দায়ের করেছেন। তাতেই প্রশ্ন উঠছে বায়রন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ থাকবে তো? কারণ এখন বায়রন বিশ্বাসের ভাগ্য নির্ভর করছে আদালতের রায়ের ওপর।

বায়রন বিশ্বাসের দলবদল প্রসঙ্গে অধীর অবশ্য কিছুটা সুর নরমই রেখেছেন। তিনি বলেছেন,'বায়রন ভাইটি আমার, কংগ্রেসকে বদনাম কোরও না। তোমার নিয়ত, তোমার ইমান-ধর্মকে প্রশ্ন করো!' এখানেই অবশ্য শেষ করেননি অধীর, তিনি আরও বলেন, 'কংগ্রেস তোমাকে প্রার্থী করেছিল। বামদের সমর্থন নিয়ে কংগ্রেস কর্মীরা রাতদিন এক করে তোমাকি জিতিয়েছিল। মানুষ কংগ্রেসের উপর ভরসা করে। তার প্রোডাক্ট হলে তুমি। এবার কেনাবেচার রাজনীতিকে তুমি নিজে কী করলে সেটা তোমার ব্যাপার। তাই বলছি কংগ্রেসকে বদনাম কোরও না। তুমি ভাল পরিবারের ছেলে, তোমার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি দেখেই তোমাকে প্রার্থী করেছিলাম..' । কিছুটা হলেও আক্ষেপের সুর ছিল অধীরের গলায়।

সাগরদিঘি মডেলের পর বায়রন বিশ্বাসকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন দেখেছিল কংগ্রেস। বাম ও কংগ্রেস একজোট হয়ে নির্বাচনে লড়বে। জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য বায়রনের নাম পর্যন্ত ভাবতে শুরু করেছিল কংগ্রেস। সেইসবে জল ঢেকে বায়রন গেলেন তৃণমূলে। যদিও ভোটে জেতার পর বিধানসভায় আসার পর থেকেই বেসুরো গাইছিলেন বায়রন বিশ্বাস। তিনি বলেছিলেন তিনি তৃণমূলের লোক। এবার সত্যি তিনি তৃণমূলের লোক হয়ে গেলেন।

আরও পড়ুনঃ

নীতিশের ডাকা মেগা - বিজেপি বিরোধী বৈঠক পিছিয়ে গেল, ১২-র পরিবর্তে 'অ-জানা কারণে' বৈঠক ২৩ জুন

'... ছোট ছোট গল্প থেকে ভালবাসা সৃষ্টি হয়', মৃত্য়ুপুরী বালেশ্বরের রেললাইন বুকে আকড়ে প্রেমের কবিতার পাতা

'আমি কোনও বাজে কথা বলিনি', কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে জ্ঞানেশ্বরীর পাল্টা গোধরা তোপ মমতার