সংক্ষিপ্ত

পরীক্ষার ঠিক একদিন আগে মঙ্গলবার নাবালিকার বাড়ির সামনেই তাঁর উপর অ্যাসিড হামলা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার আগেই বড় বিপর্জয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে অ্যাসিড ছুড়ে পরীক্ষার্থীর ডান হাত পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে বীরভূম জেলার নলহাটি থানা এলাকার একটি গ্রামে। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হতে চলেছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার জন্য জোর কদমে চলছিল প্রস্তুতি। কিন্তু পরীক্ষার ঠিক একদিন আগে মঙ্গলবার নাবালিকার বাড়ির সামনেই তাঁর উপর অ্যাসিড হামলা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। তবে মনের জোড় থাকলে কী না হয়। পুড়ে যাওয়া হাত নিয়েই পরীক্ষায় বসতে চায় ওই পড়ুয়া। শেষমেষ রাইটার নিয়ে বৃহস্পতিবার হাসপাতালের শয্যা থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় ওই পরীক্ষার্থী।

বীরভূম জেলার নলহাটি থানা এলাকায় একটি হাইস্কুলের ছাত্রী ওই পড়ুয়া। পড়াশোনায় ভালো বলেই পরিচিত স্কুলে। মাধ্যমিকের জন্য প্রস্তুতিও ভালো ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। কিন্তু পরীক্ষার আগেই ভয়াবহ ঘটনা। অ্যাসিড হামলার শিকার কিশোরী। আক্রান্ত ছাত্রী জানিয়েছে, মঙ্গলবার বাড়ির বাইরে এক বন্ধু তাকে ডাকে। এবং তাকে একটু উপহার দিতে যায় বলে জানায়। উপহার নেওয়ার জন্য হাত বাড়াতেই নাবালিকার হাতে অ্যাসিড ছুড়ে মারে ওই যুবক। অসহ্য জ্বালা ও যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে কিশোরী দেখতে পায় বেশ খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাইকে উঠে পালায় সে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। নলহাটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দিনই রাজ্যের অপর এক প্রান্তে ঘটে গেল আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে হাতির হামলায় মৃত্যু হল পরীক্ষার্থীর। গজলডোবা সংলগ্ন মহারাজ ঘাট এলাকার ঘটনা। মৃত ছাত্রের নাম অর্জুন কুমার। পাচিরাম নাহাটা স্কুলের ছাত্র সে। সকালে বাবার সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রের দিকে যেতে গিয়েই বিপত্তি। জানা যাচ্ছে বাবার সঙ্গে বাইকে করে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল অর্জুন। বেলাকোবার কেবলপাড়া হাইস্কুলে ছিল তার পরীক্ষাকেন্দ্র। হঠাৎ গজলডোবা সংলগ্ন এলাকায় একটি হাতি তারা করে অর্জুনদের বাইকটিকে। পালাতে চেষ্টা করলেও বিশেষ লাভ হয়নি। হাতির পায়ে পিষ্ট হয় মারা যায় অর্জুন।

ঘটনাটি ঘটে সকাল ন'টা নাগাদ। মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেয়ে মৃত অর্জুনের বাবা মা ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তাঁদের বাড়ি যান বনকর্মীরা ও এনজেপি থানার মিলনপল্লী ফাঁড়ির পুলিশ। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনের উদাসীনতাই এই ঘটনার জন্য দায়ী। তাঁদের দাবি এর আগেও হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে গ্রামের অনেকের। মাঝেমধ্যেই গ্রামে হানা দেয় হাতি। তান্ডব চালায়। অনেকের বাড়ি ঘরও ভেঙেছে বলে দাবি করেন তাঁরা। এত ঘটনার পরও হেলদোল নেই বনদফতরের। হাতি তাড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমঙ্কী তাঁরা এও অভিযোগ করেন যে বন দফতরের আদিকারিকরা ঠিকমতো নজর রাখলে এমন ঘটনা ঘটত না। গোটা ঘটনা ঘিরে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে গ্রামে। এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা।

আরও পড়ুন - 

আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা, জানুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা

পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক ঘটনা, হাতির পায়ে পিষ্ট হয় মৃত্যু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর

পরীক্ষার মরশুমে অতিরিক্ত মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের, জানুন সূচি