সংক্ষিপ্ত
লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোটকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল ইন্ডিয়া জোট। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সেই জোটের শরিক দলগুলির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে এগোতে চাইছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সম্পর্কে বহু প্রচলিত প্রবাদ হল, 'কংগ্রেস গুসকরা পুরসভা নিয়ে ভাবে না, দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকতে চায়।' এবার বলা যায়, পশ্চিমবঙ্গ নিয়েও ভাবে না কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এরাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের লেজুড় হয়ে থাকাই কংগ্রেসের লক্ষ্য। সেই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে রাজ্য রাজনীতিতে হারানো জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে থাকা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর পরিবর্তে নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি নরম মনোভাবাপন্ন শুভঙ্কর সরকারকে। সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সম্পাদক পদে ছিলেন শুভঙ্কর। সেখান থেকে তাঁকে রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হল। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল সরকারিভাবে চিঠি দিয়ে শুভঙ্করকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগ করার কথা জানিয়েছেন। বিদায়ী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরের অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে নতুন কোনও দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়নি।
কংগ্রেসে অধীর-জমানা শেষ?
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের কাছে হেরে যান অধীর। এরপরেই তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। তবে এতদিন হাইকম্যান্ডের পক্ষ থেকে অধীরকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়নি। শনিবার রাতে সরকারিভাবে সে কথা জানিয়ে দেওয়া হল। ফলে এখন কংগ্রেসের কোনও পদেই নেই অধীর। তিনি আর সাংসদও নন। ফলে রাজনীতিতে গুরুত্ব হারালেন অধীর।
কংগ্রেস ছাড়বেন অধীর?
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন অধীর। এবার তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ায় সেই জল্পনা বাড়ল। যদিও অধীর বা শুভেন্দু অধিকারী এখনও এ বিষয়ে কিছু জানাননি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
অধীর চৌধুরীর রাজত্বে ভাঙনের নেপথ্যে লুকনো কৌশল, ফাঁস করল তৃণমূল কংগ্রেস
'হেরেছি কিন্তু অজুহাত দিতে চাই না', ক্ষুব্ধ অধীর কি সন্ন্যাস নেবেন?