সংক্ষিপ্ত

মাটিগাড়া রামকৃষ্ণ মিশনের ১০ একর জমির একাংশ বেদখলের অভিযোগ উঠেছে। মিশন কর্তৃপক্ষ জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে এবং মুখ্যমন্ত্রী সহ প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছে। এর আগে শালুগাড়াতেও রামকৃষ্ণ মিশনের জমি বেদখলের ঘটনা ঘটেছিল।

মাটিগাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশনের (Matigara Ramakrishna Mission) জমি (Land) বেদখলের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে মিশন কর্তৃপক্ষ। ১০ একর জমির একাংশ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে মাটিগাড়া রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (CM Mamata Banerjee) ও দার্জিলিংএর জেলা শাসকের কাছে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন। শিলিগুড়ির মেয়রেরসঙ্গেও দেখা করেন তাঁরা।

মাটিগাড়া রামকৃষ্ণ মিশনের ১০ একর জমি ছিল। কিছুটা অংশ কেনা হয়েছিল। বাকি অংশটা দানের জমি। ১৯৭৬ সালে ওই জমির একাংশে রামকৃষ্ণ বেদান্ত আশ্রম সঙ্ঘেই ছিল। ১৯৯০ সালে সেখানে স্থায়ী, অস্থায়ী বসবাস শুরু হয়। সরকারি ভবন নির্মানও শুরু হয়। সেই সময় মিশনের কিছুটা অংশ বেদখল হয়ে যায়। সেই দখল করা জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ মিশনে কিছুটা জমি বেদখল হয়ে যায়। সেই জমি ফিরে পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই মিশন কর্তৃপক্ষ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।শিলিগুড়ির মেয়র ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গৌতম দেবের সঙ্গে এদিন দেখা করেন স্বামী বিনয়ানন্দ মহারাজ ও তাঁর সঙ্গীরা। আলোচনার মাধ্য়মে দখল জমি ফিরে পাওয়ার জন্য কী কী ব্যবস্থা করা যেতে পারে সেই নিয়ে কথা বলেন।

উল্লেখ্য, সরকারি জমি বেদখল নিয়ে দফায় দফায় কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। তারই মাঝে গত ১৯ মে, শালুগাড়ার রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের চেষ্টা করে জমি মাফিয়ারা। ঘটনা ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। যদিও সেই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করে রাজ্য প্রশাসন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।