সংক্ষিপ্ত
শুধু মোটা টাকাই দেওয়া নয়, একেকজন গ্রামবাসীকে ডাকঘরের সামনে পড়ে থাকতে হচ্ছে প্রায় ২৪-৪৮ ঘণ্টা ধরে।
প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক, অথবা আধার কার্ড তৈরি অথবা সংশোধন করার জন্য যখন বাড়িতে বসেই একাধিক সুবিধা উপলব্ধ করে দিয়েছে UIDAI, তখনই বিশাল বড় জালিয়াতি নজরে এল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। আধার সংশোধন করার উদ্দেশ্যে লাইন দেওয়ার জন্য বিক্রি হচ্ছে কুপন। সেই বেআইনি কুপনের দাম রাখা হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। শুধু তাইই নয়, একেকজনের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকাও। দিনের পর দিন সাধারণ মানুষকে ব্ল্যাকমেল করেই অবাধে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে জালিয়াতরা।
চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এসেছে দক্ষিণবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে। এই জেলার নামখানার একটি ডাকঘরে আধার কার্ড সংশোধন বা তার সঙ্গে কোনও তথ্য সংযোজন বা অন্য কোনও পরিচয়পত্রের সঙ্গে আধার কার্ড লিংক করাতে একটানা ২৪ ঘণ্টা ধরে জেগে জেগে মানুষকে প্রায় হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতে হচ্ছে ডাকঘরের দুয়ারে। এতেই শেষ নয়, কোনও কোনও মানুষকে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরেও লাইন দিতে দেখা গেছে আধার সংশোধনের জন্য।
কিন্তু, কেন এমন গণ্ডগোলের সৃষ্টি হল সরকারি দফতরে?
এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, একেকদিন দীর্ঘ প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে যাচ্ছে আধার কার্ডের গ্রাহকদের লাইন। কিন্তু, সমস্যা হল, এই লাইনের সামনের দিকে যে ব্যক্তিরা দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁরা অনেকেই দিনের পর দিন ধরে ডাকঘর থেকে কুপন তুলে নিচ্ছেন। তারপর সেই কুপন তাঁরা লাইনের পিছনে থাকা ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করছেন মোটা টাকার বিনিময়ে। এই মোটা টাকার পরিমাণ চলে যাচ্ছে একেবারে পাঁচশো পর্যন্ত।
২৪ ঘণ্টা বা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অধীর অপেক্ষায় লাইন দিয়ে থাকা গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রত্যেক দিন পরে এসে লাইনের সামনের দিকে জোর করে দাঁড়িয়ে পড়ছেন ২৫ থেকে ৩০ জন মানুষ। পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষরা এই জবরদস্তির প্রতিবাদ করলে তাঁদের সাথে ওই প্রতারকদের ঝামেলা বেধে যাচ্ছে। স্থানীয় মানুষরা মনে করছেন, এবিষয়টি নিয়ে প্রশাসন যদি সক্রিয় হত, তাহলে এইসমস্ত অসাধু লোকগুলো চোখের সামনে দাঁড়িয়ে এই ধরনের জালিয়াতি করতে পারত না।
আরও পড়ুন-
আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘শ্রী অন্ন’-এ প্রাধান্য, ‘আদি মহোৎসব’-এর সূচনায় বক্তব্য রাখলেন বৃহস্পতিবার
ত্রিপুরায় ভোট দিতে এলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, ভোটে সামিল তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরাও
ভূমিকম্পের খবরের মধ্যেই আবার কম্পন, বুধবার গভীর রাতে ভয়াবহভাবে কেঁপে উঠল ফিলিপিন্স