সংক্ষিপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হবে? ইতিমধ্যে কেন্দ্রের দ্বারা সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রীত হচ্ছে।” 

পশ্চিমবঙ্গে বাজেট পেশ হওয়ার শুভ লগ্নেই বেড়ে গেল সরকারি কর্মীদের ডিএ। বুধবার বিধানসভায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বর্ষের জন্য বাজেট পেশ করেছেন বাংলার অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর ঘোষণার পরেই জেলা সফরে বেরিয়ে পড়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সফরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনেই দেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করার বিরুদ্ধে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হবে? ইতিমধ্যে কেন্দ্রের দ্বারা সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রীত হচ্ছে। মনে হচ্ছে, দেশে যেন আগামি দিনে কোনও মিডিয়াই থাকবে না। আমি দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, মিডিয়া স্বাধীন নয়। কারণ তারা জানে যে, যদি তারা কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাহলে সংস্থার ম্যানেজমেন্ট তাদের চাকরি খেয়ে নেবে।”

সংবাদ সংস্থা বিবিসি-র তরফে মোদীর শাসনকালে ভারতে হওয়া দাঙ্গা সংক্রান্ত তথ্যচিত্র প্রকাশ পাওয়ার পর মুম্বইতে এই সংস্থার অফিসে একটানা প্রায় ১৯ ঘণ্টা ধরে ভারতের ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের তল্লাশির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর একটি টুইট মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, “আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। জি ২০ সম্মেলন চলছে। এটা নতুন কিছু নয়। প্রত্যেক বছর একটা দেশ নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পায়। আমরা এটা সমর্থন করছি। কেন তারা এই আচরণ করছে, বুঝে উঠতে পারছি না। গতকাল সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর টুইট দেখে আমি খুব অবাক হয়েছি।”

কেন্দ্রকে ঠুকে তিনি আরও বলেন, “মাঝেমাঝে নীরব থাকাই ভালো, কারন জনগণ সবটাই দেখতে পাচ্ছে। তারা তাদের দ্বিমুখী রূপ লুকোতে পারছে না। তা বাইরে বেরিয়ে আসছে।” তাঁর বন্তব্য, “আমাদের কাছে ক্ষমতা আছে, কিন্তু সেই ক্ষমতা ব্যবহার করার একটা সীমাবদ্ধতাও আছে। আর, আমি সেটাকে মাথায় রেখেই এগোই। আমি সংবিধান মানি, জনগণের আদেশ মানি। কিন্তু তারা (কেন্দ্রের শাসকদল)? তারা তো, স্বৈরশাসনে বিশ্বাসী। এদের আচরণ হিটলার, চাউসেস্কুর চেয়ে বেশি!”

“আমার সমর্থন বিবিসির প্রতি আছে। সব মিডিয়ার প্রতিই আছে। তারা (কেন্দ্র) সংবাদমাধ্যমের মতো বিচার বিভাগকেও নিজেদের আওতায় আনতে চায়। তারা এটির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে এবং বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে গিয়েছে। আমরা চাই বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ থাকুক, স্বাধীনভাবে কাজ করুক। এক মাত্র বিচার বিভাগই স্বৈরশাসনের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে পারে ।”