সংক্ষিপ্ত
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনেই ফাঁস হয়েছে প্রথম ভাষা বাংলার প্রশ্নপত্র। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েক জনের মোবাইলে পৌঁছে যায় প্রশ্নপত্র।
মোবাইল ফোনে ছবি তুলে প্রশ্ন ফাঁসের দিন শেষ। আগেই ঘোষণা করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র মোবাইলে ছবি তুলে যদি ফাঁস করা হয় তাহলে ছাড়া পাবে না অভিযুক্তরা। এমনও দাবি করা হয়েছিল। এবার তারই হাতেনাতে প্রমাণ দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়ে গেছে বলে অভিযোগ। কিন্তু মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তৎপরতায় প্রশ্নপত্র ভাইরালের অভিযোগে ইতিমধ্যেই দুই জনকে সনাক্ত করা হয়েছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনেই ফাঁস হয়েছে প্রথম ভাষা বাংলার প্রশ্নপত্র। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েক জনের মোবাইলে পৌঁছে যায় প্রশ্নপত্র। দ্রুত খবর পৌঁছে যায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তৎপর হয় পর্ষদ। সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত দুই অভিযুক্তকে খুঁজে বার করা হয়েছে। সূত্রের খবর গুই পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের পরীক্ষা বাতিলও হতে পারে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরীক্ষা শুরুর আগেই বলেছিলেন এবার প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে। পর্ষদ সূত্রের খবর প্রযুক্তির ব্যবহার করেই অভিযুক্তদের সন্ধান পাওয়া গেছে।
পর্ষদ জানিয়েছিল প্রশ্নপত্রে একটি করে কোড থাকবে। প্রশ্নপত্রের ছবি তোলা হলে সেটিরও ছবি উঠবে। তাই দেখেই অভিযুক্তদের সনাক্ত করা যাবে। হোয়াটসঅ্যাপে যে ছবি ভাইরাল হয়েছে সেটি প্রশ্নপত্রের দ্বিতীয় পাতার ছবি। সেখানে ১.১৩ থেকে ২.১২ পর্যন্ত প্রশ্ন দেখা যাচ্ছে। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রগুলি তাদের প্রশ্নেই ছিল। যদিও এবার নকল রুখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসিটিভি ব্যবহার করা হচ্ছে। মোবাইল ফোনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তারই মধ্যে কি করে প্রশ্নপত্র ফাঁস হল তাই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।