সংক্ষিপ্ত

শুরু হয় বিরিয়ানির প্যাকেট বিলি। মুহুর্তে বদলে যায় মঞ্চের চেহারা। ফাঁকা হয়ে যায় হলঘর। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় প্যাকেট নেওয়ার জন্য। হলঘর থেকে বেরনোর জন্য মহিলা তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়।

বিরিয়ানির লোভে মাঠ ফাঁকা! দিব্যি চলছিল তৃণমূলের অনুষ্ঠান। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে যে ঘটনা ঘটল, তাতে ফের তৃণমূলের অন্দরে সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মঞ্চে তখন বসে রয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই সময় আচমকা শুরু হয় বিরিয়ানির প্যাকেট বিলি করা। আর তা পেতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে। মুহুর্তে মাঠ ফাঁকা হয়ে যায়। দেখা যায় মঞ্চের সামনে নেতা নেত্রীদের বক্তব্য শোনার কেউ নেই। সব ভিড় তৈরি হয়েছে বিরিয়ানি বিলির কাউন্টারে।

এই ঘটনা চোখের সামনে দেখে রীতিমতো হতাশ হতে হয় তৃণমূলের মন্ত্রীকে। ক্ষোভ দেখিয়ে মঞ্চ ছাড়েন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বুধবার কাঁথির বীরেন্দ্র স্মৃতিসৌধে মহিলা তৃণমূলের তরফে সঙ্ঘবদ্ধ শপথ গ্রহণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বক্তব্য রাখার কথা ছিল চন্দ্রিমার। চন্দ্রিমা সভাস্থলে পৌঁছতেই তাঁকে স্বাগত জানানোর সময় সাময়িক বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। সেই বিশৃঙ্খলা কোনও ক্রমে সামাল দেয় তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। কিছুক্ষণ পর বলতে উঠে মোদী সরকারের সমালোচনা শুরু করেছিলেন চন্দ্রিমা।

তারপরেই ঘটে বিপত্তি। এরপর সেখানে শুরু হয় বিরিয়ানির প্যাকেট বিলি। মুহুর্তে বদলে যায় মঞ্চের চেহারা। ফাঁকা হয়ে যায় হলঘর। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় প্যাকেট নেওয়ার জন্য। হলঘর থেকে বেরনোর জন্য মহিলা তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। বক্তৃতা থামিয়ে চন্দ্রিমা মঞ্চ থেকে তাঁদের শান্ত হতে বলেন। এর পর জেলার নেতারাও মাইক্রোফোন হাতে কাকুতি- মিনতি শুরু করেন। কিন্তু লাভ হয়নি কিছু।

উল্লেখ্য, গত বছর ৫ মার্চ বর্ধমান শহরে তৃণমূলের সভায় ঠিক একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভা শেষে বিরিয়ানির প্যাকেট নিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। রীতিমতো লুঠ হয়ে যায় বিরিয়ানির প্যাকেট। নেতাদের বক্তব্য থামিয়ে দিতে হয় বিরিয়ানির টানে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।