সংক্ষিপ্ত
জয়দেব - কেন্দুলি মেলা সাধারণত বাউল ফকিরের মেলা। আখড়ায় আখড়ায় গান আর কোলাহল। মেলা ঘিরে পুণ্যার্থীদের ভিড়। রাজনীতি থেকে প্রায় শতযোজন দূরে জয়দেব মেলা।
জয়দেব - কেন্দুলি মেলায় মিলে গেল বীরভূমের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতা? প্রশ্নটা তুলেই দিল একটি ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করছেন কাজল শেখ। অনুব্রত মণ্ডল যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসে জেলা সভাপতি, সেখানে কাজল শেখ জেলা পরিষদের সভাপতি।
জয়দেব - কেন্দুলি মেলা সাধারণত বাউল ফকিরের মেলা। আখড়ায় আখড়ায় গান আর কোলাহল। মেলা ঘিরে পুণ্যার্থীদের ভিড়। রাজনীতি থেকে প্রায় শতযোজন দূরে জয়দেব মেলা। কিন্তু সেই মেলা ঘিরেই রাজনৈতিক চর্চা জোরদার হতে শুরু কর। সোমবার ইলামবাজারের জয়দেবে মকর সংক্রান্তি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে দেখা গেল কেষ্ট আর কাজলকে। শুধু নাই নয়, মঞ্চে অনুব্রত পা ছুঁয়ে প্রনাম করলেন কাজল।
বীরভূমের রাজনীতিতে কেষ্ট-কাজল দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। দুজনে একই সূত্রে বাঁধার নানান চেষ্টাও করেছেন দলনেত্রী। কিন্তু দুজনকে একই ছাতার তলায় আনাটা যে কঠিন তা হয়তো তিনিও বুঝতে পেরেছেন। বীরভূমের একচ্ছত্র আধিপত্য নিজের হাতে রাখতে চান অনুব্রত। কিন্তু কাজল শেখ সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ান। অনুব্রত জেল বন্দি থাকার সময় কাজলের রমরমা কিছুটা হলেও বেড়েছে। কিন্ত জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পরও কাজল অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে যাননি। বিজয়া সম্মিলনী, মিলনমেলা, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠান তাঁরা আলাদা আলাদা করেই পালন করেছিলেন। যা নিয়ে কালকাতা থেকেও তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বড় বার্তা দিয়েছিল। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। এই অবস্থায় একই মঞ্চে তাঁদের দেখাটা কিছুটা হলেও অবাক করার মত বিষয়। যদিএ কেষ্ট বা কাজল কেউ কখনই কারও বিরুদ্ধে প্রকাশ্য়ে কিছু বলেননি। কাজল শেখ অবশ্য বলেছেন, অনুব্রত মণ্ডল তাঁর দাদা। অনুব্রতর বাড়িতেও গিয়েছিলেন দেখা করতে। কিন্তু জেল মুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম তাঁদের প্রকাশ্যে একত্রে দেখা গেল।