সংক্ষিপ্ত
আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ। এবার মমতার তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটিতে জায়গা পাওয়া কাজল শেখ অনুব্রতর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপও কি বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব থামাতে পারবে না? অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে আবারও এই প্রশ্নই তুলে দিলেন দলে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ কাজল শেখ। তাঁর অভিযোগ জেলে বসেই বীরভূমে দলের অন্দরে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন অনুব্রত। তাতেই কোর কমিটিত দলনেত্রী তাঁর নাম তালিকাভুক্ত করার পরেও ঠাঁই হয়নি। বৈঠক মাঝপথে ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কাজল শেখ। তারপরই ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
অনুব্রত মণ্ডল বিহীন বীরভূমে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী প্রকাশ্যে এলো। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ সপ্তাহে একদিন করতে কোর কমিটির বৈঠক। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে দেওয়া কোর কমিটির নতুন সদস্য নানুরের কাজল শেখ। তার অভিযোগ জেল থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে দল চলছে। এমনটাই তাকে জানিয়েছেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। যদিও কাজল শেখের অভিযোগের গুরুত্ব দিতে চাননি বিকাশ রায় চৌধুরী। শনিবার বীরভূম জেলা তৃণমূলের প্রধান দলীয় কার্যালয়ে বীরভূম তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে কোর কমিটির আসনে জায়গা হয়নি কাজল শেখের। ফলে মাঝপথে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান কাজল শেখ।
কাজল শেখের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলা সফরে এসে সাত সদস্যের একটি কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। সপ্তাহে একদিন করে জেলার সাংগঠনিক দিক থেকে কোর কমিটি বৈঠক করার নির্দেশ দিয়ে যান দলনেত্রী। কাজলের দাবি, কোর কমিটি কোন বৈঠক করছে না। এমনকি কাজলের কোর কমিটিতে জায়গা হওয়াটা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ অন্যান্য কোর কমিটির সদস্যরা মেনে নিতে পারছেন না। পাশাপাশি কাজলের আরো দাবি, অনুব্রত জেল থেকে বসে যা নির্দেশ দিচ্ছেন সেটাই কার্যকর করছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কোর কমিটির সদস্যরা। এমনটাই তাকে জানিয়েছেন সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক তথা কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায় চৌধুরী বলছেন।
বিস্ফোরক কাজল শেখ। কাজল শেখ বলেন, “আমি সামনের চেয়ারে বসার জন্য দল করছি না। আমার বিধায়ক হওয়ার বাসনা নেই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শকে সামনে রেখে নেশায় দল করছি। মুখ্যমন্ত্রী বলে গিয়েছিলেন সপ্তাহে একদিন করে কোর কমিটির বৈঠক করতে হবে। কিন্তু এখন সেই বৈঠক হয়নি। তাছাড়া আমি জেলা কমিটির বৈঠকে বলতে চেয়েছিলাম কোর কমিটির সদস্যরা সপ্তাহে একদিন করে জেলা পার্টি অফিসে সময় দিক। কিন্তু সেই কথা গ্রাহ্য হয়নি। অন্যদিকে বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, “কাজল কি বলেছে আমি জানি না। তবে অভিযোগ ঠিক নয়”।
আরও পড়ুনঃ
বিনিয়োগে আকর্ষণ বাড়াবে দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ে,প্রথম পর্বের উদ্বোধন করে দাবি মোদীর
পুরোহিতদের দাবি মত ২ হাজার টাকা দিতে রাজি নয়, তারাপীঠের মন্দিরে গিয়ে আক্রান্ত একদল মহিলা
'সন্ত্রাস,মাফিয়া, দুর্নীতির সমার্থক তৃণমূল', জনসভা থেকে শাসকদলকে নিশানা বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডার