সংক্ষিপ্ত

চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী আরজি করের ঘটনার বিচারের দাবিতে সরব হয়ে মিছিলে পথ হাঁটেন। সেখানেই তিনি বলেন,'কর্মবিরতি করেই সমস্যার সমাধান হয় না।

আরজি কর কাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা আর নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সরব হয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ৩২ দিনেরও বেশি সময় ধরে কর্মবিরতি পালন করেছিল। কয়েক দিন আগে কাজে যোগ দিলেও সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনার পরই আবারও কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অবস্থায় সমস্যা দেখা দিয়েছে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায। পুজোর মধ্যেও কর্মবিরতি চালাতে পারে জুনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতেই চিকিৎসক সুবর্ণ গস্বামী তাঁদের কাছে কর্মবিরতিতে না যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী আরজি করের ঘটনার বিচারের দাবিতে সরব হয়ে মিছিলে পথ হাঁটেন। সেখানেই তিনি বলেন,'কর্মবিরতি করেই সমস্যার সমাধান হয় না। তাই জুনিয়র ডাক্তাররা যে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সিনিয়র ডাক্তার হিসেবে পরামর্শ থাকবে এটা তাঁরা পুর্নমূল্যায়ণ করুক। কর্মবিরতি না করে আমরা সিনিয়ররা যেমন রাস্তায় আছি মনে হয় তারাসেই ভাবে কাজ করতে পারেন।'

এদিন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী রাজ্য সরকারকেও একহাত নেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হলে সরকারের কিছু যাবে আসবে না। যাবে আসবে গরীব মানুষের। প্রচুর শূন্যপদ রয়েছে সিনিয়র চিকিৎসদের। কম লোক দিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা তারা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরও তো একটা সীমা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সিনিয়র চিকিৎসকদেরও পরিষেবা দেওয়ার একটা সীমা রয়েছে। তাঁর কথায় কর্মবিরতি বেশি দিন চললে দরিদ্র মানুষের, বিশেষ করে যাদের কোথাও যাওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের পরিষেবা পেতে সমস্যা হবে।

যদিও আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে এদিন পথে নামেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। তিনি আগেই বলেছেন তাঁদের এই প্রতিবাদ রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরানোর জন্য।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।