সংক্ষিপ্ত
অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন জাগতে পারে, হঠাৎ করে কেন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বেতন বেশি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এর পিছনে রয়েছে ডিএ। স্বাভাবিকভাবেই বেতন বেশি পাওয়ার খবর রীতিমত খুশিতে ডগমগ করেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
দিন কয়েক আগেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জামাইষষ্ঠীর জন্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের হাফ বেলা ছুটি দেওয়ার ঘোষণা করে। আর এরপর আবার ঘোষণা হল বেতন নিয়ে। জামাইষষ্ঠীর ঠিক আগের দিন রাজ্য সরকারের ঘোষণায় জুন মাসের শেষে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বেতন অনেকটাই বেশি পাবেন। জামাইষষ্ঠীর আগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একের পর এক খুশির খবর শোনাচ্ছে রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যখন কেন্দ্রের সমান ডিএ-এর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন, ঠিক সেই সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় গত বছর ডিসেম্বর মাসের ২১ তারিখ প্রথম দফায় চার শতাংশ দিয়ে বৃদ্ধি করার ঘোষণা করেছিলেন। বর্ধিত ডিএ-এর হারে জানুয়ারি মাস থেকে বেতন দেওয়া শুরু হয়। এরপর আবার রাজ্য বাজেটে ডিএ আরো ৪ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়। রাজ্য বাজেটে নতুন করে যে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছিল সেই অনুযায়ী বেতন মিলেছে মে মাসেই।
এখন অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন জাগতে পারে, হঠাৎ করে কেন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বেতন বেশি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এর পিছনে রয়েছে ডিএ। স্বাভাবিকভাবেই বেতন বেশি পাওয়ার খবর রীতিমত খুশিতে ডগমগ করেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সহ বেশ কিছু রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির পরও তা এখন ১৪ শতাংশ। এক্ষেত্রে ফারাক থেকেই যাচ্ছে এবং সেই ফারাক ১-২% নয় একেবারে ৩৬ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই এখনো রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বড় অংশ এই ফারাক কমানোর দাবি তুলছেন।
তবে মে নয়, এখন জানা গেল রাজ্য সরকার তাদের কর্মচারীদের এপ্রিল মাস থেকেই বর্ধিত ডিএ অনুযায়ী বেতন দেবে। এক্ষেত্রে এক মাসের ডিএ বকেয়া রয়েছে আর সেই বকেয়া ডিএ সহ বেতন জুন মাসের শেষে যে বেতন ঢুকবে তার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে দেওয়া হবে। যেহেতু এই মাসের শেষে যে বেতন ঢুকবে সেই বেতনের সঙ্গে এপ্রিল মাসের বকেয়া ডিএ এবং বর্তমান ডিএ একসঙ্গে ঢুকবে তাই বেতন অনেকটাই বেশি পাবেন সরকারি কর্মচারীরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।