সংক্ষিপ্ত
রিষড়ার ঘটনা কড়া বার্তা রাজ্যপালের। তিনি বলেছেন গণতন্ত্রকে বিপথে চালিত করা যাবে না। কথা বলেছেন মমতার সঙ্গে।
হাওড়ার পর এবার হুগলির রিষড়ায় রাম নহবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে। এই অশান্তি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ কড়া বার্তা দিলেন। রাজভবন সূত্রের খবর রিষড়ার অশান্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। তারপরই রাজ্যপাল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন ''গুন্ডা, দুর্বৃত্তজের কঠোরভাবে দমন কপা হবে। গণতন্ত্রকে বিপথে চালিত করা যাবে না।
মিছিলকারীদের অভিযোগ রাম নবমীর শোভাযাত্রা যখন একটি মসজিদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল তখনই মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। তারপরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। বেশ কিছু গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ চলে আসার পরেই মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বিজেপি নেতা। তিনি অভিযোগ করেন মসজিদ থেকেই হামলা হয়েছে বলে। পাশাপাশি রাম নবমীর ধর্নীয় শোভাযাত্রায় শিশু ও মহিলারাও ছিল , তাই এজাতীয় হামলা অনভিপ্রেত বলেও জানিয়েছেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'রোজাদারদের ঈমান দেখুন ! রিষড়ার মসজিদ থেকে রাম নবমীর মিছিলে পাথর ছুঁড়ছে।'
চন্দননগর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন সন্ধ্যে ৬টা ১৫ মিনিটে সংঘর্ষ শুরু হয়। মিছিলটি নির্ধারিত পথ দিয়েই যাচ্ছিল। তবে আচমকাই মিছিল লক্ষ্য করে পাছর ছোঁড়া হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করা হয় বলেও জানিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ কর্তারা। তিনি আরও জানিয়েছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে রিষড়ার এই সংঘর্ষ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে যথারীতি তরজা শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর রবিবার রাত ১০টা থেকে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত রিষড়া ও মাহেশ এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হবে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, 'এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা কড়া হাতে দমন করা হবে। আগুন নিয়ে খেলা করার পরিণাম শীঘ্রই টের পাবেনআইনভঙঅগকারীরা। এমন শান্তি দেওয়া হবে যে দুষ্কৃতীরা তাদের জন্মদিনকে অভিশাপ দেবে। প্রশাসন লুঠপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা বন্ধ করতে বদ্ধ পরিকর।' দিন দুই আগে রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়া। অমিত শাহের ফোন পেয়েই সেই সময় রীতিমত তৎপর হয়ে ওঠেন রাজ্যপাল। তিনি পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে রাজভবনেই বিশেষ সেল খোলেন। পাশাপাশি হাওড়ায় পরিকল্পনাও নিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজভবন থেকে বিবৃতি জারি করাও হয়েছিল।