সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশের এক প্রশাসনিক কর্তা জানিয়েছেন, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রফতানির কাজ শুরু হতে পারে। তবে এখনও কতটা পরিমাণ ইলিশ এই দেশে রফতানি করা হবে তা স্থির হয়নি বলেও সূত্রের খবর।
দুর্গাপুজোয় বাংলার ভোজন রসিকদের পাতে পড়তে পারে পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ। বাংলাদেশ সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইলিশ রফতানি করতে প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রক অনুমতি দিয়েছে। বাংলায় পদ্মার ইলিশের চাহিদ অন্যান্যবারের মত এবারও তুঙ্গে। কলকাতা থেকে বেশি কিছু মৎসব্যবসায়ী সংগঠন ইলিশ পাঠানোর আবেদন জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি লিখেছিল। তবে ঠিক কতটা পরিমাণ ইলিশ এই দেশে পাঠান হবে তা এখনও জানা যায়নি।
বাংলাদেশের এক প্রশাসনিক কর্তা জানিয়েছেন, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রফতানির কাজ শুরু হতে পারে। তবে এখনও কতটা পরিমাণ ইলিশ এই দেশে রফতানি করা হবে তা স্থির হয়নি বলেও সূত্রের খবর। যদিও গত বছর ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ৫০ মেট্রিক টন করে মোট ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। যদিও সংস্থাগুলি নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ রফতানি করতে পারেনি। সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশের প্রশাসনিক কর্তা।
অন্যদিকে কলকাতা একটি সংস্থা শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর জন্য বাংলাদেশ থেকে পাঁচ হাজার টন ইলিশ আমদানি করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। মৎসব্যবাসীরা বলেছেন বাংলাদেশ যদি ইলিশ আমদানির মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৬০ দিন করে তাহলে গোটা উৎসবের মরশুমে ইলিশের ঘাটতি থাকবে না। মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই আসবে পদ্মার ইলিশ। কলকাতার মৎসব্যবাসীদের আরও অভিযোগ রয়েছে, যতটা পরিমাণ রফতানির নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ প্রশাসন তার তুলনা অনেক কম ইলিশ পাঠায় সংস্থাগুলি। তাই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ অমূল্য হয়ে পড়ে।
কলকাতার মাছ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পদ্মার ইলিশ রাজ্যে এলেও দাম কিন্তু নাগালের খুব একটা মধ্যে থাকবে না। ১২শ থেকে ১৪শ টাকা দাম হতে পারে এক কিলো ওজনের ইলিশের। তবে অষ্টমী , নবমী, ভাইফোঁটাতে কলকাতার বাজারে পদ্মার ইলিশের দাম চড়তে পারে। পদ্মার ইলিশ পেলেই দরাদরি শুরু হবে। চাহিদা অনুযায়ী দাম কমতে বা বাড়তে পারে।