সংক্ষিপ্ত
জয়নগরকাণ্ডের তদন্তের জন্য বারুইপুর পুলিশ যে সাত সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করেছেন তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বারুইপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্ত।
জয়নগর -কাণ্ডে এখন উত্তপ্ত গোটা এলাকা। নিহত নির্যতিতার দেহ নিয়ে মিছিল করছেন এলাকাবাসী। নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সরব স্থানীয়রা। এই অবস্থায় জয়নগরকাণ্ডে তদন্তের জন্য সাত সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করল বারুইপুর পুলিশ।
জয়নগরকাণ্ডের তদন্তের জন্য বারুইপুর পুলিশ যে সাত সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করেছেন তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বারুইপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্ত। দলে রয়েছেন এসডিপিএ অতীশ বিশ্বাস,জয়নগর সিআই সুবীর ঢালি, এসআই ত্রিদিব মল্লিক, এসআই সৌমেন দাস. এসআই তন্ময় দাস।
মঙ্গলবার সকালে নির্যাতিতার দেহ নিয়ে মিছিল করেন গ্রামবাসীরা। সেই সময়ই গ্রামে যান এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস। তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। পুলিশের গাড়ির চাবিও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা বলে অভিযোগ উঠেছে। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই গ্রামে ঢোকেন এসডিপিও। সকালে গরানকাটিতে একটি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পরই একজন লেডি কনস্টেবল অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
এদিন নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। তিনি নিহতের পরিবারকে রাজ্য প্রশাসনের ওপর ভরসা রাখতে বলেন। দোষীদের চরম শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান।
টিউনশন পড়তে গিয়ে শুক্রবার রাতে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ১০ বছরের ছাত্রী। ক্লাস ফোরে পড়ত। তারপর খোঁজ না পাওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। কিন্তু পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই রাতের বেলা বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে উদ্ধার হয় নির্যাতিতার ক্ষতবিক্ষত দেহ। তারপরই পরিবার ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ তোলে। পরিবারের অভিযোগ পুলিশ একজনকে আটক করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ যদি দ্রুত পদক্ষেপ করতে তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। কিন্তু পুলিশ ছিল উদাসীন। যদিও পুলিশ সুপার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।