সংক্ষিপ্ত

ভোটের দিন সকাল থেকেই শান্ত ছিল সন্দেশখালি তথা বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র। যদিও আগের রাতে পুলিশের ছদ্মবেশে গ্রামে গ্রামে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

 

ভোট দিলেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তারপরই বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ প্রিয় রেখা পাত্র। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তবে এতদিন রেখার আক্ষেপ ছিল ভোট দিতে না পারার। এবার প্রার্থী হয়ে সেই আক্ষেপ মিটিয়েছেন তিনি। ভোট দিয়েছেন রেখা পাত্র। পাশাপাশি রেখা সন্দেশখালি তথা বসিরহাটের বাসিন্দাদের সকাল সকাল ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ভোটের দিন সকাল থেকেই শান্ত ছিল সন্দেশখালি তথা বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র। যদিও আগের রাতে পুলিশের ছদ্মবেশে গ্রামে গ্রামে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় প্রতিবাদে স্থানীয় মহিলারাই ঝাটা হাতে রাত পাহারা শুরু করেছিলেন। যাইহোক ভোটের দিন মোটের ওপর শান্ত সন্দেশখালি।

এদিন সকাল থেকেই বুথে বুথে ঘোরেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রেখা। তিনি বলেন, 'আমি জীবনে এই প্রথম নিজের ভোট নিজে দেব সন্দেশখালিতে। সন্দেশখালির মা বোনরাও প্রথম ভোট দেবে সকালে।' তারপরই ভোট দেন রেখা পাত্র। তিনি আরও বলেন, '২০১১ সাল থেকে আমরা ভোট দিতে পারিনি। আজ আমি আত্মবিশ্বারের সঘ্গে বলতে পারেন আমা ভোট দিতে পারব।' তিনি আরও বলেন, সন্দেশখালির আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা কেবল ভোট দেওয়ার জন্য নয়, তাঁদের বিশেষ করে মহিলাদের আত্মসম্মানের জন্য। তিনি আরও বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের আন্দোলনকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছিল। কারণ সন্দেশখালিতে সবাই এতক্রিত। বসিরহাট আমাদের পরিবার। আমরা তাদের সঙ্গে আছি। আমি আশাকরি তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে। '