সংক্ষিপ্ত
বিবিসির অফিসে ইনকাম ট্যাক্স দফতরের 'সার্ভে'র কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন মমতা। কেন্দ্রীয় সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থি বলেও দাবি করলেন তিনি।
'এরা তো হিটলারের থেকেও বেশি', বিবিসির অফিসে আয়কর হানা নিয়ে এবার কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাজেট বক্তৃতার পর বক্তৃতা দিতে উঠে এমনটাই কেন্দ্রীয় সরকারকে তো দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী ম,মতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তথ্যচিত্র বিতর্কের মাঝে বিবিসির অফিসে ইনকাম ট্যাক্স দফতরের 'সার্ভে'র কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন মমতা। কেন্দ্রীয় সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থি বলেও দাবি করলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের 'দু'মুখো' নীতি বেশি দিন লোকাতে পারবে না। অন্যদিকে তদন্তে সবরকমের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে বিবিসি। এই মর্মে বিবিসির পক্ষ থেকে একটি টুইটও করা হয়েছে।
বুধবার বাজেট অধিবেশনের শেষে বিবিসি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,'এরা তো দেখছি হিটলার, চেসেস্কুর থেকেও বেশি। এক এক সময় তো বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধেও কথা বলে। বিচারালয়কেও সম্মান করেনা।' সংবাদ মাধ্যমের স্বতন্ত্রতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,'কেন্দ্রীয় সরকার মিডিয়ার অধিকাংশকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। ওঁদের বিরুদ্ধে মিডিইয়া কিছু বললেই কারও না কারও চাকরি চলে যায়। বিবিসির দফতরে অভিযানের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা অনভীপ্রেত, দুর্ভাগ্যজনক। দেশে তো আর কোনও সংবাদমাধ্যমই থাকবে না।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও সংযোজন,'বিবিসি যদি আইনের বিরুদ্ধে কিছু করেই থাকত তাহলে চিঠি দিয়ে জানতে চাইলেই হত। আমি মনে করিনা বিবিসি সরকারের বিরুদ্ধে কিছু করেছে। এই ঘটনা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘটানো। এটা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থী।'
মঙ্গলবার বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে হানা দেয় ইনকাম ট্যাক্সের প্রতিনিধি দল। ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতে। সম্প্রতি ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া: দ্যা মোদী কোয়েশ্চেন' ঘিরে সংবাদ শিরোনামে কেন্দ্র-বিবিসি সংঘাত। এই বিতর্কের মাঝেই বিবিসির দুই বড় শহরের অফিসে ইনকাম ট্যাক্সের প্রতিনিধি দলের অভিযান এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যদিও আয়কর দফতর এটিকে 'রেড' বলতে নারাজ। তাঁদের মতে এই অভিযান একটি সাধারণ সার্ভে মাত্র। ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুইয়া মৈত্র। এই প্রসঙ্গে টুইটও করেছেন তিনি। পাশাপাশি তথ্যচিত্র নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। বিবিসির অফিরে আয়কর হানার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীইয় সরকারকে তো দাগলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। টুইট বার্তায় তিনি লিখেছে,'বিবিসির দিল্লির অফিসে ইনকাম ট্যাক্সের রেড। সত্যি, কী অপ্রত্যাশিত। অন্যদিকে সেবির দফতরে গল্প করতে গেলে আদানীর ভালোই সেবা করা হয়।'
আরও পড়ুন -
আরও তিন শতাংশ মহার্ঘভাতার ঘোষণা রাজ্য সরকারের, মমতার 'উপহারে' কতটা খুশি রাজ্যের সরকারি কর্মীরা?
'কর্মসংস্থানমুখী বাজেট, সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের স্বার্থের বাজেট' - প্রশংসা মমতার