সংক্ষিপ্ত
এখন অনেক বাঙালিরা বলেন, 'জানেন দাদা, আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না।' মাতৃভাষার প্রতি সেই অনীহাকেই মজার কবিতার রূপ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছিলেন ভবানী প্রসাদ মজুমদার।
বাংলা সাহিত্য মহলে ফের শোকের ছায়া! প্রয়াত হলেন বাংলা কবিতার স্রষ্টা তথা ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদার (Bhawani Prasad Majumder) । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই আসছে ভাষা দিবস, ২১ তারিখ আসার আগেই দাঁড়ি পড়ল ছড়াকারের সৃষ্টিতে।
বিশ্বের দরবারে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন ‘ভাষা আন্দোলন’ হিসেবে শ্রদ্ধেয় হয়ে আছে। অথচ, যে ভাষাটির জন্য বাঙালিরা প্রাণ পাত করে দিলেন, সেই ভাষাই আজ বহু বাঙালির কাছে চরম অনীহার বিষয়। এজন্যই তো এখন অনেক বাঙালিরা বলেন, 'জানেন দাদা, আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না।' সেই অনীহাকেই মজার কবিতার রূপ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছিলেন ভবানী প্রসাদ মজুমদার। তাঁর ক্ষুরধার লেখা, শব্দের প্রয়োগ, নজরকাড়া কিছু কথা অনেকের কাছে আজও অজানা।
-
৭ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে চলে গেলেন ভবানী প্রসাদ মজুমদার। কবির মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই শোকের ছায়া পড়েছে সাংস্কৃতিক জগতে। হাওড়া জেলার জগাছা থানার অন্তর্গত দাশনগরের দক্ষিণ শানপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতার নাম নারায়ণচন্দ্র মজুমদার এবং মা নিরুপমাদেবী। গ্রামের সবুজ ঘেরা পরিবেশ দেখতে দেখতেই তাঁর বেড়ে ওঠা। প্রকৃতির সৌন্দর্য, সময়ের সঙ্গে মানুষের জীবনের পরিবর্তন, দিনযাপনের আদবকায়দা সবটাই নিজের হৃদয়ে সঞ্চয় করে কলমের মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন তাঁর লেখায়।
-
গত পাঁচ বছর ধরেই নানা ধরনের বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। ডিমেনশিয়ার সমস্যাও ছিল তাঁর। দিন কয়েক আগে তাঁর নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পারিবারিক চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী গত সোমবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন কবি। গতকাল গভীর রাতে সেখানেই প্রয়াত হন।