সংক্ষিপ্ত
খাবারের পুষ্টিগুণ যাতে বজায় থাকে তার জন্য নির্দিষ্ট মেনু তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ীই যাতে পড়ুয়াদের মিড ডে মিল দেওয়া হয়, তার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
মিড ডে মিলের (Mid day Meal) খাবার নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় বহু অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। পড়ুয়াদের পুষ্টির কথা মাথায় রেখে সরকারের তরফ থেকে মিড ডে মিল চালু করা হলেও বিভিন্ন জায়গায় পুষ্টির বিষয়টি নজরে রাখা হয় না বলেই অভিযোগ। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে এবার মিড ডে মিলে রাখা হল নতুন মেনু । নতুন মেনু মেনেই পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবার সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
-
দৈনিক মিড ডে মিলের জন্য পড়ুয়া পিছু ১৪ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। এই অল্পসংখ্যক টাকার মধ্যে সব সময় পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবারদাবার দেওয়া সম্ভব হয় না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়, কেবলমাত্র ডাল ভাত আর সঙ্গে অন্য একটি তরকারি দিয়েই মিড ডে মিল সেরে ফেলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে এমনটা আর চলবে না।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু ডাল, ভাত আর সাধারণ তরকারির বদলে যাতে খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় থাকে তার জন্য নির্দিষ্ট মেনু তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ীই যাতে পড়ুয়াদের মিড ডে মিল দেওয়া হয়, তার জন্য কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনের এই নির্দেশের পর সেই একই প্রশ্ন উঠছে আর সেই প্রশ্ন হল বরাদ্দ! শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের তরফ থেকে এমন বেঁধে দেওয়া মেনুর পরিপ্রেক্ষিতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি তুলছেন।
-
মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের কি খাওয়ানো হবে তা এতদিন পর্যন্ত ঠিক করত স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এমন মেনু ঠিক করার পরিপ্রেক্ষিতেই নানান অভিযোগ উঠতে দেখা যেত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব বর্ধমান প্রশাসনের তরফ থেকে মিড ডে মিল সরবরাহ নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং মেনু বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আর সেই মেনু অনুযায়ী খাবার দিতে হবে বলেই জানিয়েছেন জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোনার।
প্রশাসনের তরফ থেকে নতুন যে মেনু বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেই মেনুতে ভাত, ডাল, ডিম, তরকারি, সয়াবিন প্রভৃতি খাবার থাকছে বলেই জানা যাচ্ছে। এই মেনু বেঁধে দেওয়ার পর অধিকাংশ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, পালা করে বিভিন্ন সময় বেঁধে যাওয়া মেনু পরিপ্রেক্ষিতেই খাবার সরবরাহ করা হয়। তবে খাবার সরবরাহ করার ক্ষেত্রে সমস্যা সেই বরাদ্দ নিয়েই।