সংক্ষিপ্ত

বাঙালিদের কাজে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই দাবিতেই বিশাল মিছিল বাংলা পক্ষর। হুগলির শ্রীরামপুরের মিছিলে অধিকাংশ ছিল তরুণ তরুণীরা।

 

বাংলায় বাঙালিদের কাজের দাবিতে বাংলাপক্ষ-র বিশাল মিছিল হুগলির ইনডাস্ট্রি এলাকা হিসেবে পরিচিত শ্রীরামপুরে। মিছিলের অগ্রভাগে ছিল তরুণ ও তরুণীরা। শ্রীরামপুরের বান্ধবসমিতির মোড় থেকে RMS ময়দান হয়ে বটতলা, জিটি রোড হয়ে মাহেশে এসে এই মিছিল শেষ হয়। হুগলি নদীর পাড়ের দখল হয়ে যাওয়া শিল্পাঞ্চলের মানুষরাই এই মিছিয়ে যোগ দিয়েছিলেন। স্থানীয় বাঙালিরাও মিছিলে আন্তরিকতার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। মিছিলের মূল উদ্দেশ্যেই ছিল রাজ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলে স্থানীয় বাসিন্দা ও বাঙালিদের কাজে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ‍্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস‍্য কৌশিক মাইতি, অরিন্দম বিশ্বাস, মনন মণ্ডল, কালাচাঁদ চট্টোপাধ‍্যায়। হুগলি জেলার সম্পাদক দর্পণ ঘোষ ছাড়াও কলকাতা জেলার সম্পাদক অরিন্দম চ‍্যাটার্জী, উত্তর ২৪ পরগণা (শিল্পাঞ্চল) এর সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ ও উত্তর ২৪ পরগণা (শহরাঞ্চল) এর সম্পাদক পিন্টু রায়।

মিছিলের শেষে আয়োজিত সভায় বক্তব‍্য রাখতে গিয়ে গর্গ চট্টোপাধ‍্যায় বলেন 'দখল হয়ে যাওয়া হুগলি নদীর দুই পাড় পুনরুদ্ধার করতে হবে। ডানকুনির লজিস্টিক হাব সহ হুগলি শিল্পাঞ্চলে যে কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে, সেখানে বাঙালির কাজ দিতে হবে। এই মিছিল দেখে হুগলির বাঙালি তথা বাংলার বাঙালি সাহস পাবে। বাঙালির জনজোয়ার বুঝিয়ে দিচ্ছে গঙ্গার দুপারে বহিরাগতদের রাজত্ব শেষ হওয়া সময়ের অপেক্ষা।' শীর্ষ পরিষদ সদস‍্য তথা সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন ,'রিষড়া, ভদ্রেশ্বর, চাঁপদানী বিহার না বাংলা বোঝা যায় না, বেশীর ভাগ কাউন্সিলার বহিরাগত, চারদিকে সিং গজিয়ে উঠছে। যে সিং বাঙালিকে গোঁতাতে আসবে আমরা তা ভোঁতা করে দেব। বাংলার চাকরি, কাজ, বাজার, পুঁজি সবকিছুর দখল আমরা চাই'।

শীর্ষ পরিষদ সদস্য তথা হুগলী জেলার ভূমি সন্তান মনন মণ্ডল বলেন, ' ব্যান্ডেল থেকে উত্তরপাড়া হুগলির দুই পাড়ে বাঙালি কোনঠাসা হয়ে গিয়েছিল। বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে বাঙালি আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে৷ ৩০ বছরের কম বয়সী ছেলেমেয়েরা মিছিলে হাঁটছে৷ এটা আগামীর স্বপ্ন দেখায়।'

হুগলি জেলা সংগঠনের সম্পাদক দর্পণ ঘোষ বলেন "এই মিছিলে বাঙালির মনে যে আলোড়ন তৈরী হল, তা ঘরে ঘরে বাঙালিকে জাগিয়ে তুলবে। বাঙালি নিজের অধিকার বুঝে নেবে। কারখানায় কাজ থেকে অটো, টোটো লাইন থেকে ফুটপাথ- সর্বত্রই আমরা বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো। যে স্বপ্ন আমরা ৫ বছর আগে দেখেছিলাম, জিটি রোডের উপর বাঙালির গর্জন বুঝিয়ে দিচ্ছে বাঙালি দ্রুত জাগছে। "