নির্যাতিতা মহিলা আরও জানিয়েছেন যে তার জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং তাকে নগ্ন করতে বাধ্য করা হয়েছিল।

মণিপুরে মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে, এবার বাংলা থেকেও এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল! পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের মদতপুষ্ট কিছু সমাজবিরোধী এক মহিলা প্রার্থীকে নগ্ন করে গ্রাম জুড়ে হাঁটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, তৃণমূল কংগ্রেসের মদতপুষ্ট ওই দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে ওই মহিলাকে মারধর এবং শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। মিডিয়া রিপোর্ট বলছে ঘটনাটি ঘটেছে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন অর্থাৎ ৮ই জুলাই।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের একজন মহিলা প্রার্থী শাসক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা করার অভিযোগ করেছেন। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ৮ জুলাই তাকে উলঙ্গ করে পুরো গ্রামে ঘোরানো হয়। ঘটনাটি হাওড়া জেলার পাঁচলা এলাকায়। এ ব্যাপারে পাঁচলা থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী হেমন্ত রাই, নূর আলম, আলফি এসকে, রণবীর পাঞ্জা সঞ্জু, সুকমল পাঞ্জা এবং আরও অনেককে এফআইআর-এ অভিযুক্ত করা হয়েছে।

নির্যাতিতা মহিলা বলেছেন যে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁকে নিগ্রহ করে। তাঁর বুকে ও মাথায় লাঠি দিয়ে হামলা চালিয়ে ভোটকেন্দ্রের বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতিতা মহিলা আরও জানিয়েছেন যে তার জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং তাকে নগ্ন করতে বাধ্য করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, প্রকাশ্যে তাকে অশ্লীল ভাবে স্পর্শ করা হয় এবং শ্লীলতাহানি করা হয়। নির্যাতিতা বলেছেন যে, যখন কিছু টিএমসি কর্মী তাকে হেনস্থা করছিল, তখন তাদের একজন নেতা তাদের জামাকাপড় ছিঁড়তে প্ররোচিত করেছিলেন।

বঙ্গ বিজেপির সহ-ইনচার্জ অমিত মালব্য একটি টুইটে দাবি করেছেন যে বিজেপি চাপ দিলে এই মামলায় এফআইআরও নথিভুক্ত করা হয়েছিল। অমিত মালব্য বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনার লজ্জা নেই? ৮ জুলাই, ২০২৩-এ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনে, আপনার সচিবালয় থেকে অল্প দূরে হাওড়ার পাঁচলাতে গ্রামসভার একজন মহিলা প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছিল, নগ্ন প্যারেড করা হয়েছিল। বিজেপি চাপ সৃষ্টি করার পর আপনার পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।”

Scroll to load tweet…

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী আখ্যায়িত করে তিনি বাংলায় মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণার পরেই বাংলায় হিংসাত্মক ঘটনার সূত্রপাত হয়। এই হিংসায় ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল এবং অনেক লোক রাজ্য ছেড়ে প্রতিবেশী রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছিল।