সংক্ষিপ্ত

মুকুল রায়েকে নিয়ে চর্চার মাঝেই ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ একটি পোস্ট করলেন অনুপম। এই পোস্ট ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।

 

তৃণমূলের এককালের চানক্য তথা বর্তমানে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়কে ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে জল্পনা। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে কাউকে কিছু না জানিয়ে এই দিল্লি যাত্রা ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা। একাংশের মতে বিজেপিতে পুনরায় যোগ দিতেই এই আচমকা দিল্লি যাত্রা। এরই মধ্যে জল্পনা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা পোস্ট। মুকুল রায়েকে নিয়ে চর্চার মাঝেই ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ একটি পোস্ট করলেন অনুপম। এই পোস্ট ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।

বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম মঙ্গলবার ফেসবুকে একটি এক শব্দের পোস্ট করেন। পোস্টে শুধু লেখা 'প্রত্যাবর্তন'। মুকুল রায়ের দিল্লির যাত্রা ঘিরে তরজার মাঝেই কেন হঠাৎ এমন পোস্ট করলেন তিনি? তবে ফের দলবদলের হাওয়া রাজ্য রাজনীতিতে? আজই কি পদ্মে যোগ বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার? উঠে আসছে নানা প্রশ্ন। এদিকে মুকুলের বিজেপিতে যোগ প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু না বললেও একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তাঁর কথায়,'আজকের দিনটা অপেক্ষা করতে হবে। তাহলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। ভারতীয় রাজনীতি খুব বিচিত্র। এখানে সব হতে পারে। ছেলে হিসেবে বাবার খোঁজ খবর রাখাটাই শুভ্রাংশুর পক্ষে স্বাভাবিক।'

অন্যদিকে। সোমবার থেকেই মুকুল রায়ের 'নিখোঁজ' হওয়াকে কেন্দ্র করে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। মুকুলের পদ্মে ফেরা ঘিরেও তৈরি হয়েছে জল্পনা। মঙ্গলবার অবশেষে এই প্রসঙ্গে মৌনতা ভাঙলেন শুভ্রাংশু রায়। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমিখি হয়ে শুভ্রাংশু বলেন,'আমি বিমানবন্দর এবং থানায় চিঠি লিখেছি। তাঁদের জানিয়েছে দু'জন ব্যাক্তি আমাকে না জানিয়ে বাবাকে নিয়ে চলে গিয়েছে। আমি থানার আইসি এবং এরায়পোর্টের ম্যানেজারকে বলেছিলাম বাবাকে যেন বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু তা হয়নি।' কিন্তু কেন ঘটনা? কী কারণে মুকুল রায়েকে দিল্লি পাঠানোর প্রয়োজন? শুভ্রাংশু জানাচ্ছেন,'আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় অভিষেককে কালিমালিপ্ত করতেই এই রাজনৈতিক খেলা। কোনও একটি দল এটি করছে। কারণ এখন নিশানা অভিষেক। তিনিই দলটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।' মুকুল রায়ের মানসিক এবং শারীরিক পরিস্থিতি যথেষ্ট স্থিতিশীল নয় বলেই দাবি করেছেন শুভ্রাংশু। তাঁর কথায়,'মুকুল রায় মানসিক ভাবে সুস্থ নন। এখানে টাকার খেলা চলছে।' তিনি আরও বলেন,'বাবার হাতে টাকা নেই। এখন বাবার মাসিক আয় ২১ হাজার টাকা মতো। গতকাল একটি এজেন্সির তরফে এক অবাঙালিকে বলা হয়েছে, মুকুল রায়ের হাতে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য।' পাশাপাশি এখনও মুকুল রায়ের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যায়নি বলেও জানান তিনি। মুকুল রায় দিনে ১৮টি ওষুধ খান। এই পরিস্থিতিতে তাঁর কিছু হলে সে দায়ভার কে নেবে সেই প্রশ্নও তোলেন শুভ্রাংশু।

আরও পড়ুন - 

'অভিষেককে কালিমালিপ্ত করতে বাবাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া', মুকুল রায়ের দিল্লি যাত্রা প্রসঙ্গে মন্তব্য ছেলে শুভ্রাংশুর

পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে দিল্লিতে মুকুল রায়, দু'বছর পর রাজধানী যাত্রার নেপথ্যে কি কোনও বিশেষ কারণ? বাড়ছে জল্পনা

কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি মুকুল রায়, মস্তিষ্কে জটিল অস্ত্রোপচার