সংক্ষিপ্ত

কবি কাজী নজরুল ইসলামের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে বক্তব্য রেখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুক্ষণের সেই দীর্ঘ বক্তব্যের কিছুটা অংশে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গ সমাজে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সাহিত্যসৃষ্টি এবং সুসম্পর্কের বিষয়টি পরিস্ফুটিত করা। সেই উদ্দেশ্যে বাংলার কবি কাজী নজরুল ইসলামের কথা উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু, এই উল্লেখ করার মধ্যে একটি বড়সড় ভুল হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘মহাভারত নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন’। (এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা)

বলা বাহুল্য, এই বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের কারণে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে শাসকদলের নেত্রীর বিরুদ্ধে রাজনীতির ময়দানে নিন্দাকর তিরস্কারে নেমে পড়েন বিরোধী দলের নেতারা। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেছেন। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গেছে, ‘মহাভারত… নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন। কোরান, পুরাণ, বেদ-বেদান্ত, বাইবেল, ত্রিপিটক, গ্রন্থ সাহেব, জেন্দ আবেস্তা, পড়ে যাও যতসব…।’

 

 

যদিও, অনেকে মনে করেছেন যে, সম্পূর্ণ কথার মধ্যে ‘মহাভারত’ শব্দটি উচ্চারণ করতেই চাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওই শব্দটি বাদ দিয়ে তিনি বাকি কথাগুলি বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, শুভেন্দু অধিকারীর পোস্ট করা ভিডিওতে সেটি একেবারেই স্পষ্ট নয়। টুইটার অ্যাকাউন্টে তৃণমূল সুপ্রিমো কটাক্ষ করে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা ঐতিহাসিক ঘটনার বিকৃতি জনসাধারণের জানার বিষয়। এটি সাধারণত মানুষকে হাস্যরস প্রদান করে। এর দ্বারা কেউ বিরক্ত হবেন বলে মনে হচ্ছে না। কারণ, প্রত্যেকেই জানেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর সাধারণ জ্ঞান সত্যিই খারাপ। কিন্তু, তিনি হিন্দু ধর্ম সম্পর্কিত তথ্য বিকৃত করার প্রবণতা গড়ে তুলেছেন।”

শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “২৮শে আগস্ট, ২০২৩ তারিখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, তিনি বলেছিলেন যে, সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্য মহাভারত রচনা করেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। আমার মনে হয়, তিনি খুব ভালো করেই জানেন যে, মহান ঋষি মহর্ষি বেদব্যাস মহাভারতের রচয়িতা। কিন্তু, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বলেছিলেন যে, কাজী নজরুল ইসলামই মহাভারতের রচয়িতা। মনে হচ্ছে, তিনি আমাদের মহান ধর্ম সম্পর্কে তথ্য বিকৃত করে তৃপ্তির একটি বক্র অনুভূতি অনুভব করছেন।”

আরও পড়ুন- 

Ditipriya Roy: হালকা স্লিভলেসে স্পষ্ট উষ্ণতার আঁচ, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাস্যময়ী দিতিপ্রিয়া
'শুভশ্রী বৌদি কোথায়?' কৌশানী-র সঙ্গে রাজের ঘনিষ্ঠ নাচ ভাইরাল হতেই উত্তেজনা নেটিজেনদের
আপনি কি সোজা হয়ে শুয়ে ঘুমোলে ভয়ের স্বপ্ন দেখে বোবা হয়ে যান? জেনে নিন এর থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায়