সংক্ষিপ্ত

চিঠির বৈধতা নিয়ে রাজ্যপালকে আক্রমণ শানালেন ব্রাত্য বসু। এমনকী গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং জগদীপ ধনখড়ের মতো প্রাক্তন রাজ্যপালদের সঙ্গে সি ভি আনন্দ বোসের তুলনাও করলেন তিনি।

 

এবার প্রকাশ্যে রাজ্যপাল-নবান্ন সংঘর্ষ। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের চিঠি পাঠানোর প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুললেন তিনি। পাশাপাশি চিঠি প্রত্যাহার করার দাবিও জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সমালোচনায় সরব শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সম্প্রতি রাজ্যপালের দেওয়া কিছু নির্দেশ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজভবন বনাম নবান্ন সংঘাত। এই নির্দেশ নিয়ে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চিঠিও পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। এই চিঠির বৈধতা নিয়ে রাজ্যপালকে আক্রমণ শানালেন ব্রাত্য বসু। এমনকী গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং জগদীপ ধনখড়ের মতো প্রাক্তন রাজ্যপালদের সঙ্গে সি ভি আনন্দ বোসের তুলনাও করলেন তিনি।

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট রাজভবনে আচার্যের কাছে পাঠাতে হবে বলে একটি নির্দেশ জারি করেন রাজ্যপাল। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়, আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত বিষয়ের রাজ্যপালের আগাম অনুমতি নিতে হবে উপাচার্যদের। এই নির্দেশিকার বিরোধিতায় সরব হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। উচ্চশিক্ষা দফতর সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে কীভাবে এমন চিঠি পাঠানো যায় সে বিষয় প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শহর পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শহরের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিশেষ পদক্ষেপ। বৃহস্পতিবার লেকটাউনের হনুমা মন্দিরে যান তিনি। সেখানে গিয়ে পুজো দেওয়ার পাশাপা অঞ্জলিও দেন রাজ্যপাল। পুজো দিয়ে বেরোনোর সময় সাধারণ মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন,'শান্তি বজায় রাখুন মানুষের কথা ভাবাই আমাদের কর্তব্য। সমস্ত মানুষকে সৎ বুদ্ধি দিক ভগবান। নব বর্ষে বাংলা শান্তি ও সম্প্রীতির নতুন যুগে প্রবেশ করবে।ঝান্ডা উঁচা রহে হামারা।'

রিষড়াকাণ্ডের জেরে উত্তরবঙ্গের সফর কাটছাট করে মঙ্গলবারই কলকাতায় ফিরেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শহরে ফিরে রিষড়ায় অশান্তির ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। রিষড়ায় অশান্তি সৃষ্টিকারীদের যে কোনও মূল্যে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। বিমানবন্দরে নেমেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল। তিনি বলেন,'মানুষের শান্তিতে বাঁচার অধিকার আছে। যাঁরা সাধারণ মানুষের শান্তি বিঘ্নিত করবেন তাঁদের রেয়াত করা হবে না।' ঐক্যবদ্ধভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার কথাও বলেন তিনি। রাজ্যে বারবার অশান্তির ঘটনার পুণরাবৃত্তিতে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন - 

অশান্তি এড়াতে নিজেই ঘুরে শহর পরির্দশন করলেন রাজ্যপাল, পুজো দিলেন হনুমান মন্দিরে

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিএ আন্দোলনকারী, উভয় পক্ষকেই অবস্থান ভাঙার জন্য বিশেষ নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

কলকাতায় পার্কিং ফি বৃদ্ধিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নেই? ফিরহাদ হাকিমের সিদ্ধান্তে দ্বিমত কুণাল ঘোষের