সংক্ষিপ্ত

এসএসসি রায়দান নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন।

 

কলকাতা হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে। এক ধাক্কায় চাকরি হারা হচ্ছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা। অযোগ্যদের ভিড়ে চাকরি হারাচ্ছেন যোগ্যপ্রার্থীরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলটাই বাতিল হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকার প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাবে। যোগ্য প্রার্থীরা যাতে চাকরি না হারায় তাও গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ব্রাত্য বসু। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বিজেপির সুভাষ সরকার গোটা বিষয়টাকে স্টেট - স্পনসর্ড দুর্নীতি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বসেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গোটা মন্ত্রিসভার পদত্যাগ করা উচিৎ।

ব্রাত্য বসু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, প্রয়োজনে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। যোগ্য প্রার্থীদের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। তিনি আরও বলেছেন, ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। অযোগ্যদের বের করে দিয়ে নতুন নিয়ে তাঁর সরকার চেয়েছিল বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, এসএসসি সেই আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই নির্দেশ দিয়ে তদন্ত শুরু করিয়েছিলেন। তবে হাইকোর্টের রায়ে যোগ্যপ্রার্থীদের চাকরি যাবে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, তাঁর সরকার বলেছে এটা হতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। অন্যদিকে এসএসসিও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি চাকরিহারাদের পাশে থাকাও আশ্বাস দিয়েছেন।

অন্যদিকে কেন্দ্রের বিদায়ী শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার নিশানা করেছেন রাজ্য সরকারকে। তিনি বলেছেন. এটি পুরোপুরি স্টেট স্পনসর্ড দুর্নীতি। সবটাই করেছে রাজ্য। রাজ্য মন্ত্রিসভার পদত্যাগ করা উচিৎ বলেও তিনি দাবি করেন।