সংক্ষিপ্ত
ডোমকলের মহকুমা শাসককে হাই কোর্ট জানিয়েছিল, ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী কমিটি গঠনের বৈঠক করা যাবে না। শুক্রবারের শুনানিতে এ বিষয়ে রাজ্যের মত জানতে চাইলেন বিচারপতি।
পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় রানিনগরে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছিল। কংগ্রেস কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলেও আদালতে অভিযোগ জানানো হয়। ১১ সেপ্টেম্বর রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ছিল। বোর্ড গঠনের আগেই রানিনগরে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কংগ্রেস নেতার সভার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে রানিনগর থানায় চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। থানায় ভাঙচুর ও রাস্তায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। সভাপতি সহ মোট ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয় এই ঘটনায়। থানায় অশান্তির ঘটনার পর প্রকাশ্যে ক্ষমা চান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস।
সওয়াল জবাবের পর বোর্ড গঠনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালত স্থগিতাদেশ জারি করা জানিয়ে দেয় আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অবধি সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করা যাবে না। আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বসিত হয় কংগ্রেস শিবির। ডোমকলের মহকুমা শাসককে হাই কোর্ট জানিয়েছিল, ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী কমিটি গঠনের বৈঠক করা যাবে না। শুক্রবারের শুনানিতে এ বিষয়ে রাজ্যের মত জানতে চাইলেন বিচারপতি।
এই মামলায় শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, আগামী মঙ্গলবারের (১৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে নতুন করে কবে নির্বাচন করানো হবে। সেই সঙ্গে বিচারপতির নির্দেশ স্থায়ী সমিতি গঠন পর্যন্ত বিরোধী কংগ্রেস এবং বাম সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।
রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ৪২। এই পঞ্চায়েত সমিতিতে বাম-কংগ্রেস জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও পরে কয়েক জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সভাপতি নির্বাচনে জয়ের পরে কংগ্রেস এবং বাম কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল বার করলে অশান্তি ছড়িয়েছিল রানিনগরে। তৃণমূল এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপরেই হস্তক্ষেপ চাওয়া হয় কলকাতা হাইকোর্টের। এবার বল রাজ্যের কোর্টে।