সংক্ষিপ্ত

কলাকাত হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে DA আন্দোলনকারীদের মিছিলের অনুমতি দিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে মিছিল শুরু হবে। তবে রাজশেখর মান্থার একগুচ্ছ প্রশ্ন রাজ্য প্রশাসনকে।

 

 

মহার্ঘভাতা বা ডিএর দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের নবান্ন অভিযানে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসনের সামনে রাখল প্রশ্ন। কারণ রাজ্য প্রশাসন সরকারি কর্মীদের নবান্ন অভিযানের অনুমতি দেয়নি। তারপরই ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ দ্বারস্থ হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ সরকারি কর্মীদের মিছিলের অনুমতি দেন। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের প্রস্তাবিত রুটেই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়।

৪ মে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ধর্মতলা থেকে নবান্ন পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি চেয়েছিল রাজ্যের কো-অর্ডিনেশন কমিটি। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ -র দাবিতে এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তারপরই তাঁরা মিছিলের দাবি নিয়ে দ্বারস্থ হয় কলকাতা হাইকোর্টের। মঙ্গলবার সকালেই সেই মামলা ওঠে রাজশেখর মান্থার এজলাসে। তাতেই প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। দুপুর ২টোয় মামলার শুনানি শুরু হয়। তবে রাজ্য সরকারি কর্মীরা প্রথম যে রুটের প্রস্তাব দিয়েছিল তা নাকচ করে দেন বিচারপতি। মিছিলেন জন্য বিকল্প রুটের প্রস্তাব দেয় রাজ্য প্রশাসন। তাতে সাড়া দেয় আন্দোলনকারীরা।

ডিএ মিছিলের রুটঃ

৪ মে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মিছিল শুরু হবে দুপুর আড়াইটের সময়। মিছিল শেষ করতে হবে বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে। মিছিল হবে ফেরিঘাট থেকে। বঙ্কিমসেতু হয়ে মিছিল যাবে ডিএম স্লোপ, এমজি রোড, হাওড়া ময়দান পর্যন্ত। নির্দিষ্ট দিনে রাজ্য পুলিশকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিচারতি অনলাইনে মিছিলের অনুমতির আবেদন নেওয়ারও ব্যবস্থা করতে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশকে প্রশ্নঃ

এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা নিজেদের দাবিদাওয়া আদায়ের জন্য মিছিল করতে চায়। তা যদি শান্তিপূর্ণ হয় তাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন। রাজ্য এজাতীয় কর্মসূচিতে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। কিন্তু বাধা দিতে পারে না। তিনি আরও বলেন প্রতিবাদ করা মানুষেক মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তারপরই তিনি শর্ত সাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দেন।

আগে রাজ্য প্রশাসন এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি। রাজ্য প্রশাসনের যুক্তি ছিল, জনবহুল এলাকায় মিছিলের কারণে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বে। স্কুল ও অফিস যাত্রীরা সমস্যায় পড়বে। ট্রাফিকের অসুবিধে হবে।

পাল্টা বিচারপতি মান্থা রাজ্যের কাছে প্রশ্ন করেন, 'যে বিধিনিষেধের কথা আপনারা বলছেন সেটা শাসকদলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্যোতো? রেড রোড বন্ধ করে যখন মিছিল হয়, কর্মসূচি হয় তখন কি পুলিশের অসুবিধে হয় না?' তিনি আরও বলেন, 'কিছু দল মিছিল করলে কলকাতা অবরুদ্ধ হয়ে যায়। আমি শুধু শাসক দলের কথা বলছি না। মানুষ পরিবার নিয়ে রাস্তা বার হতে চায় কিন্তু তা পারে না। তখন পুলিশের অসুহিধে হয় না?'