সংক্ষিপ্ত

আদালতের পর্যবেক্ষণ গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এক বছর হতে চলল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সিবিআই কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেনি।

 

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রীতিমত হতাশ। এবার তিনি সিবিআই ডিরেক্টর প্রবীণকুমার সুদের কাছ থেকেই সরাসরি রিপোর্ট তলব করবেন। বুধবার ওএমআর শিটকাণ্ডে শুনানির সময় তিনি নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ৪ অক্টোবর এই মামলার শুনানির সময় সিবিআই ডিরেক্টর প্রবীণকুমার সুদকে তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে। দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। তদন্তকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি রিপোর্ট দেবেন।

প্রাথমিকে ওএমআর শিটে মামলাকারীর নাম শান্তনু শিট। তাঁর আইনজীবী দুব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় সওয়ালের সময় বলেন, ওএমআর শিটের ডিজিটাইসড ডেটায় অনেক ভুল রয়েছে। প্রশ্ন-উত্তরে অনেক বিকল্পও ভুল রয়েছে। পর্ষদ যে তথ্য দিয়েছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী।

আদালতের পর্যবেক্ষণ গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এক বছর হতে চলল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সিবিআই কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেনি। সত্য সামনে আসনে সিবিআই চাইছে না বলেও মনে করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই সিবিআই ডিরেক্টরকে আদালতের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আপনাদের কাজ কি মানুষকে বোকা বানান! গতকাল শুনানিতে দেখলাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সিবিআই করেনি। আজও দেখলান যে প্রশ্ন সাধারণ ভাবে করা উচিৎ ছিল সেগুলি সিবিআই করেনি। ' তিনি সিবিআইকে মনে করিয়ে দেন যে চারজন ব্যক্তি টাকা দিয়ে চাকরির কথা বলেছে সিবিআই তাদেরও গ্রেফতার করেনি। চারজন নিম্ন আদালতে যাওয়ার পরই তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার সিবিআই-এর বিশেষ তদন্তকারী দল সিট-এর প্রধান অশ্বিন শেনভিককে তলব করেছেন। তাঁকে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আগামিকাল দুপুর ২টোর সময় সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত নিয়ে রীতিমত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি।