সংক্ষিপ্ত

বাংলাদেশ প্রশাসন জানিয়েছেন, ৭০ জন ভারতীয় মৎব্যবসায়ী ২১-২৫টি কনসাইনমেন্টে বুধবার বিকেল থেকে এই রাজ্যে ইলিশ নিয়ে আসবে।

 

কাউন্টডাউন শেষ! বুধবার রাত থেকেই এবার বাংলায় ঢুকবে বাংলাদেশের পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ। যার জন্য পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছে। বাংলাদেশ প্রশাসন জানিয়েছে, এগ্রিমেন্ট ও ট্রেড লাইসেন্সের জটিলতা কেটে গিয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর রাত থেকেই এই দেশে পৌঁছে যাবে পদ্মার ইলিশ। প্রথমে কথা ছিল ১৭ সেপ্টেম্ববর থেকেই পদ্মার ইলিশ এই দেশে পাওয়া যাবে। কিন্তু নানা জটিলতায় আটকে যায় ইলিশ- যাত্রায

যাইহোক সবকিছু ঠিক থাকলে রবিবার থেকে খুচরো বাজারে পাওয়া যাবে পদ্মার ইলিশ। বাংলাদেশ প্রশাসন জানিয়েছেন, ৭০ জন ভারতীয় মৎব্যবসায়ী ২১-২৫টি কনসাইনমেন্টে বুধবার বিকেল থেকে এই রাজ্যে ইলিশ নিয়ে আসবে। পদ্মা ও মেঘনার সুস্বাদু ইলিশই তারা আসছে। পুজোর সময় পদ্মার ইলিশ বাঙালির পাতে পড়তে আর কোনও সমস্যা নেই।

পুজোর আগেই বাংলাদেশ থেকে প্রায় চার হাজার টন ইলিশ এই দেশে ঢুকবে বলেও আশা করেছে বাংলার মৎসব্যবসায়ীরা। পেট্রাপোল বন্দরের শুল্ক দফতরের ক্লিয়ারিং সেক্রেটারি কার্তিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বুধবার রাতেই প্রথম লটের বাংলাদেশের ইলিশ এই রাজ্যে ঢুকবে। ৪০ টন ইলিশ বুধবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ঢোকার কথা রয়েছে। ৭-৮ জন মৎস ব্যবসায়ী ইলিশ আমদানির অনুমতি পেয়েছে। তবে এগ্রিমেন্ট ও ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কিছু জটিলতা ছিল। যা বুধবার সকালেই কাটে গেছে। তাই ইলিশ আমদানিতে আর কোনও বাধা নেই।

গত বছর ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ৫০ মেট্রিক টন করে মোট ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। যদিও সংস্থাগুলি নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ রফতানি করতে পারেনি। সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশের প্রশাসনিক কর্তা।

অন্যদিকে কলকাতা একটি সংস্থা শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর জন্য বাংলাদেশ থেকে পাঁচ হাজার টন ইলিশ আমদানি করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। মৎসব্যবাসীরা বলেছেন বাংলাদেশ যদি ইলিশ আমদানির মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৬০ দিন করে তাহলে গোটা উৎসবের মরশুমে ইলিশের ঘাটতি থাকবে না। মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই আসবে পদ্মার ইলিশ। কলকাতার মৎসব্যবাসীদের আরও অভিযোগ রয়েছে, যতটা পরিমাণ রফতানির নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ প্রশাসন তার তুলনা অনেক কম ইলিশ পাঠায় সংস্থাগুলি। তাই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ অমূল্য হয়ে পড়ে।

কলকাতার মাছ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পদ্মার ইলিশ রাজ্যে এলেও দাম কিন্তু নাগালের খুব একটা মধ্যে থাকবে না। ১২শ থেকে ১৪শ টাকা দাম হতে পারে এক কিলো ওজনের ইলিশের। তবে অষ্টমী , নবমী, ভাইফোঁটাতে কলকাতার বাজারে পদ্মার ইলিশের দাম চড়তে পারে। পদ্মার ইলিশ পেলেই দরাদরি শুরু হবে। চাহিদা অনুযায়ী দাম কমতে বা বাড়তে পারে।