সংক্ষিপ্ত
আদালতের সিদ্ধান্তের ফলে এখন চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার চাকুরীজীবী। এবার আরও চাকরি বাতিলের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি থেকে ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল। এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ২৩৭৫৩ চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে, এই রায়ের পরে হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। হাইকোর্টের রায় বেরোনোর পরে বেশ চিন্তায় চাকরিহারারা। এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি বেতনের টাকা ফেরত দেওয়ার সময় ১২ শতাংশ সুদ দিতে হবে গুনে গুনে। এবার আরও চাকরি বাতিলের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। জানা গিয়েছে এক শিক্ষাকর্মীর এসসি শংসাপত্র বিতর্কে বিরাট রায় দিয়েছে আদালত।
ঝাড়গ্রামের একটি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সুতপা হাটই। ১৯৯৭ সালে তফশিলি জাতি সংরক্ষিত শিক্ষাকর্মীর পদে নিয়োগ করা হয় তাঁকে। দীর্ঘ ১৪ বছর চাকরিও করেছেন তিনি। ২০২১ সালের মে মাস অবধি বেতনও পেয়েছেন। কিন্তু এবার কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের ফলে চিন্তার ভাঁজ সুতপার কপালে!
সুতপার দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাঁর কথায়, ‘সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করবেন’। তিনি জানান, এখনও বিনা মাইনে-তে বিদ্যালয়ে পরিষেবা দিচ্ছেন তিনি। স্কুলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১১ সালের জুন মাস থেকে বেতন পাচ্ছেন না সুতপা। তবে বিষয়টি যেহেতু হাই কোর্টে বিচারাধীন তাই তাঁকে বিদ্যালয়ে কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়নি।
১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জামবনি ব্লকের দুবড়া আদর্শ বিদ্যামন্দিরে (উচ্চ মাধ্যমিক) শিক্ষাকর্মী (মেট্রন) পদে চাকরি পান সুতপা। দুবড়া নিবাসী সুতপাকে তফশিলি জারির জন্য সংরক্ষিত আসনে নিয়োগ করা হয়েছিল। জাতিগত শংসাপত্রও দিয়েছিলেন তিনি। তবে ২০১১ সালে একটি মহল অভিযোগ তুললে সুতপার জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে প্রশাসনিক মহলে অনুসন্ধান আরম্ভ হয়। ওই বছরই তাঁর জাতিগত শংসাপত্র বাতিল করে ঝাড়গ্রামের তৎকালীন মহকুমাশাসক।
এরপর জুন মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় সুতপার বেতন। বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির তরফ থেকে তাঁকে ধরিয়ে দেওয়া হয় কারণ দর্শানোর নোটিশ। তবে পাল্টা জবাব দেননি তিনি। বরং তাঁর জাতিগত শংসাপত্র বৈধ, এই দাবি করে হাই কোর্টের রিট পিটিশন করেন। একাধিকবার শুনানি শেষে সুতপার বিপক্ষে রায় গেল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।